Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এদেশে একমাত্র শিল্পীরাই ঠিকঠাক টাকা পান’


১৪ অক্টোবর ২০২২ ২২:৫০

ঢালিউডে যে কয়জন চিত্রনাট্যকার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আসাদ জামান অন্যতম। তিনি একজন নির্মাতাও। ব্যস্ততার মধ্যে এসেছিলেন সারাবাংলার অফিসে। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর আহমেদ জামান শিমুল

‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিটিকে আমরা কেমন ছবি বলবো?

আমাদের এখানে ভালোবাসার সম্পর্কে অনেকগুলো স্থর থাকে। আমি তোমাকে ভালোবাসি মানে তুমিও আমাকে ভালোবাসতে হবে। কিন্তু আমাদের ছবিটিতে এ দৃষ্টিভঙ্গিকে একটু ভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করেছি। একটু পিছনের গল্প বলি, আমি একদিন (মোস্তাফিজুর রহমান) মানিক ভাইকে বললাম, শিরি-ফরহাদ, লাইলী-মজনুদের গল্প যদি এখন বলতে চাই তাহলে কীভাবে বলবো? ওনার কাছে এ প্রশ্নটা বেশ পছন্দ হলো। সে জায়গা থেকে ‘যাও পাখি বলো তারে’-এর যাত্রা।

বিখ্যাত লোকগীতি অনুসারে নাকি ছবির কাহিনির সঙ্গে মিল রেখে নামকরণ করেছিলেন?

অবশ্যই ছবির কাহিনি অনুসারে। কারো হৃদয়ে যে মানুষটা রয়েছে, সে মানুষটাকে ভালোবাসার কথা হয়তো কোনো কারণে বলা হয়ে উঠে না। তখন মনে হয়, ইস! আমার হয়ে কেউ যদি সে মানুষটাকে কথাটা বলে দিত! আমার যদি একটা পাখি থাকতো, তাহলে বলতাম বা হয়তো তাকে বলাও লাগতো না—সে আমার হয়ে মনের মানুষ বা আত্মার মানুষটাকে বলে দিয়ে আসতো—আমার ভালোবাসার কথা, তার প্রতি ভাললাগার কথা। সে আইডোলজি, ফিলোসফি বা পয়েন্ট অব ভিউ থেকেই এই নামকরণ।

মাহি এবং আদর আপনার চিত্রনাট্যে এর আগেও কাজ করেছেন। এ ছবিসহ অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে আপনি তাদের অভিনয়কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আমি বেশি আশাবাদী আদরের ব্যাপারে। ও খুব পরিশ্রমী। সবচেয়ে বড় কথা এ সিনেমা হয়েছে আদরের আগ্রহের জায়গা থেকে। আদর যে পরিমাণ এক্সসাইটেড ছিল মজনু চরিত্রের জন্য— অবিশ্বাস্য! আমি খুবই খুশি এবং একই সঙ্গে আশ্চর্য হয়েছি এ ছবির একমাত্র শিল্পী যে কিনা প্রতিটা সংলাপ যেভাবে লিখেছি সেভাবে হুবহু মুখস্থ বলতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অন্যরা কেমন করেছে— মাহি, অপু, শিপন মিত্র?

অপু ভাই তো একজন মেধাবী শিল্পী। সে জায়গা থেকে ফজলুল চরিত্রে অনেক ভালো করেছেন। শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আমার এর আগে কোনো কাজ হয়নি। তবে যতদূর দেখেছি তিনিও ভালো করেছেন। মাহির ব্যাপারে বলবো সব জায়গার মতো এখানে নায়িকাসুলভ অভিনয় করেছেন। তিনি বেশ ভালো করেছেন, এটা দর্শকরাও বলেছেন। আমার কাছেও মনে হয়েছে তিনি ভালো করেছেন।

‘জান্নাত’ থেকে শুরু মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সঙ্গে আপনার অনেকগুলো ছবির কাজ হয়েছে। এতদিন কাজ করায় নিশ্চয় একটা ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। এ বোঝাপড়ার গল্পটা শুনতে চাই

মানিক ভাই লেখার ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বাধীনতা দেন। যেটা অনেক পরিচালকের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এ ভদ্রলোক প্রত্যেকটা সিনেমায় আমাকে প্রচন্ডরকমের বিশ্বাস ও কাজের জায়গা দিয়েছেন। প্রত্যেকটা স্ক্রিপ্ট করার পর পরিচালক হিসেবে তার কিছু পর্যবেক্ষণ তো থাকেই। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। তার সঙ্গে কাজ করা বেশ আনন্দের।

‘পরাণ’ এবং আপনার এ ছবি— দুটিই রোমান্টিক গল্পের। ওই ছবির ব্যবসা কি আপনাদের ছবির ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে?

সেটা ফেলেছে কিনা জানি না। তবে ‘পরাণ’-এ যে ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে সে জায়গা থেকে আমাদেরটার সম্পূর্ণ আলাদা। বলতে পারেন আমাদের গল্পটা ‘মোর দ্যান পিউর লাভ’। যে ভালোবাসায় কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, কোনো শর্ত নেই।

চারদিকে এত এত থ্রিলার গল্পের ছবি, সিরিজ। সে জায়গা থেকে আপনাদের সহজ-সরল রোমান্টিক গল্পের ছবিটি মানুষকে স্বস্থির জায়গা দিয়েছে বা দিবে?

অবশ্যই ওই জায়গাটা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কোথায় জানি একটা গান শুনেছিলাম— নাই নাই, ভালোবাসা নাই। সত্য কথা হচ্ছে সমাজে ভালোবাসার প্রচন্ড অভাব। যার কারণে গল্প বলাতে ভালোবাসার চেয়ে থ্রিলার বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। থ্রিলার মানেই তো কোনো অপরাধকে কেন্দ্র করে জিনিসটা ঘটতেছে। কিন্তু সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সুস্থ সম্পর্কের। আমার কাছে মনে হয়, ‘যাও পাখি বলো তারে’ নিঃসন্দেহে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে নতুন স্পার্ক হিসেবে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

সমাজের বিভিন্ন গল্প আছে যেগুলো এখন একদমই হচ্ছে না— বিশেষ করে পারিবারিক সম্পর্কের গল্প। নাটকের কথা যদি বলি সাম্প্রতিক সময়ে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ পারিবারিক গল্পে হয়েছে, সবাই পছন্দ করেছেও। আপনারা কি পরিচালকদের এধরনের গল্পগুলো অফার করেন না, নাকি তারাই চান না? পরিচালকরা আসলে আপনাদের কাছ থেকে কেমন গল্প বেশি চান?

এখানে কিছুটা গাণিতিক ব্যাখা আছে। নাটক এবং সিনেমার মধ্যে প্রথম যে পার্থক্য রয়েছে সেটা হচ্ছে আর্থিক। নাটকের কয়েকগুণ বেশি টাকা লাগে সিনেমায়। তাই বিনিয়োগকারীরা চিন্তা করে সবচেয়ে নিরাপদ পথ কোনটা আমার টাকাটা তুলে আনার। যার কারণে সাধারণত তাদের ভিতরে কাজ করে এ সময়ে কোনটা বেশি চলছে। কোন ছবিগুলো সারা পৃথিবীতে বা আশে পাশের ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো ফল নিয়ে আসছে। তখন না অটোমেটিক্যালি জনরার সংখ্যাটা কমে আসে। এটা একটা বড়সড় সমস্যা। ফলে আপনি চাইলেও ভিন্ন ভিন্ন জনরার সিনেমা করতে পারছেন না।

আমার প্রশ্নটা ছিলো আপনারাটা কি পরিচালকদের অফার করেন না, নাকি তারা আপনাদের বলে অমুক ছবির মতো গল্প দাও? আসলে কী ঘটে?

এধরনের একটা বিষয় আমাদের এখানে না শুধু আমার মনে হয় সারা পৃথিবীতে রয়েছে। যিনি রোমান্টিক ঘরানার পরিচালক তার মাথায় থাকে পরের সিনেমাটাও আরেকটু বেশি রোমান্টিক গল্পে বানাবেন। কিংবা হুট করে তার মাথায় আসে অ্যাকশন কিছু সিনেমা বানাবেন। তখন মাথায় অটো কিছু সাজেশন আসে।

যাও পাখি বলো তারের গল্পটা তো আপনি তাকে শুনিয়েছিলেন।

মানিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার দার্শনিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শুধু সবসময় সিনেমা বা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করি, তা না। আমাদের মধ্যে দার্শনিক আলাপচারিতাও হয়। শুরুতে বলছিলাম না, এসময়ে লাইলি-মজনু জন্মালে কেমন হতো তাদের চেহারা— এমন একটা প্রশ্ন সবসময় আমার মনে ঘুরপাক খেতো। তারা কেমন আচরণ করতো, কেমন হতো তাদের ভালোবাসার প্রকাশ। আমি তাদেরকে দেখিনি। তাদের মধ্যকার যে ভালোবাসা সেটা যদি এ সময়ের একটা সিনেম্যাটিক গল্পে বলতে চাই, তাহলে কেমন হবে? তাদের প্রেমের যে শুদ্ধতা— অবিশ্বাস্য। যেটা এ সময়ে অকল্পনীয়।

তার মানে দাঁড়াচ্ছে আপনার মতে বর্তমান সময়ের প্রেম অবিশুদ্ধ! কীসের ভিত্তিতে এ উক্তি?

বর্তমান সময়ের প্রেম হচ্ছে ‘কনজিউমার’ প্রেম। একটা মেয়ের প্রেমে পড়লে আমার মাথায় থাকতে শুরু করে সে কতটা সুন্দর। আরেকটু জানার পর আমার ভিতরে আসে মেয়েটার পড়াশোনা কিংবা সামাজিক অবস্থান কতটুকু। মেয়ের বাবার কতটুকু কী সম্পদ, টাকা-পয়সা আছে। আমি সব ছেলের বলছি না কিন্তু বেশিরভাগের মাথায় কাজ করে এগুলো। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ব্যাপার থাকে। ছেলেটা এরকম সুন্দর হতে হবে। শাহরুখ কিংবা রনবীর টাইপ লুক আছে কিনা? কিংবা এ ছেলের একটা বাইক বা গাড়ি আছে। ছেলের বাবার ঢাকায় একটা বাড়ি আছে। যার কারণে বর্তমান সময়ের প্রেমকে আমি কনজিউমার প্রেম বলছি। আর যে প্রেমটা আমরা লাইলি-মজনু বা শিরি-ফরহাদের মধ্যে পেয়েছি ‘বিনা শর্তের’ সেটা বর্তমানে দশ কোটিতে একটা পাবেন কিনা সন্দেহ!

আপনার কাছে তাহলে প্রেমের সংজ্ঞাটা কী?

ইটস শুড বি ওপেন। আমি আমার মনটাকে যদি খুলে দিতে পারি। যেখানে আমার সততা, অসততা, হিপোক্রেসি, সীমাবদ্ধতা, অসুস্থতা, অর্জন, উপার্জন—সমস্তকিছুই আরেকটা মানুষের কাছে উন্মুক্ত থাকবে।

আপনার লেখা ‘জান্নাত’ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। আপনিও চিত্রনাট্যকার হিসেবে পাচ্ছেন এমন গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু যখন পাননি, নিশ্চয় খারাপ লেগেছিল?

খারাপ তো লেগেছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটি আমার একদম শুরুর দিককার স্ক্রিপ্ট—দ্বিতীয়। আশাবাদটা জন্মিয়েছিল যখন চারপাশ থেকে সবাই বলতেছিল—তুমি লেখক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছো। যে মানুষগুলো বলেছিলো, তারা পরীক্ষিত এবং ভুল তথ্য দেয় না। শেষ পর্যন্ত যখন সেটা হল না, তখন যদি বলি আমি কষ্ট পেয়েছিলাম—তা সত্য। কিন্তু এটা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। যেটা আমার জন্য খুবই জরুরি ছিল এবং আমি খুবই ভাগ্যবান এটা অল্প বয়সেই পেয়েছি। ওই ঘটনার পর থেকে বিশ্বাস করেন, জাতীয় পুরস্কার তো দূরে থাক পৃথিবীর কোন পুরস্কারের প্রতি আমার কোনো মোহ নেই। আমি কোনো পুরস্কার পেতে চাই না। পাইলে পাইলাম, না পাইলে আরও বেশি ভালো।

আপনার পরিচালিত ‘জলঘড়ি’ সেন্সর না পাওয়ায় দেশের সিনেমা হল ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু ছবিটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠিয়েছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছে। সেক্ষেত্রে কি আমরা বলতে পারি না আপনার মনের এক কোণায় পুরস্কারের প্রতি সূক্ষ্ম মোহ কাজ করে?

মোহটা আসলে পুরস্কারের জন্য না স্বীকৃতির জন্য কাজ করে। প্রত্যেকটা শিল্পী তার কাজের স্বীকৃতি পেতে চায়— এটা জন্মগতভাবেই চায়। সহজ ভাষায় যদি বলি আমি হয়তো উঁচু দরের শিল্পী না, কিন্তু শিল্পী তো! আমারও তো সে স্বীকৃতিটা প্রয়োজন। বিশ্ব সিনেমার সঙ্গে আমার কিন্তু আলাদা বোঝাপড়া আছে, পড়াশোনা আছে। সে জায়গা থেকে যখন বেশকিছু উৎসবে অফিসিয়ালি নির্বাচিত হয় কিংবা ঝাড়খন্ডে সেরা অ্যাকশন চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় তখন কিন্তু বিষয়টা আমাকে আনন্দিত করে।

‘জলঘড়ি’ ছিল থার্টি ফার্স্ট নিয়ে। যার কারণে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দেয়নি। এ নিয়ে কোনো আফসোস কাজ করে কিনা—আমি আমার প্রথম সন্তানটাকে ঠিকঠাক মতো দর্শকদের দেখাতে পারলাম না?

আফসোস হচ্ছে, আমার ইচ্ছে ছিলো ছবিটা কমপক্ষে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো। কারণ আমার সিনেমাটাতে যারা কাজ করেছে—শিল্পী, টেকনিশিয়ান তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। সবাই জানে ছবিটা বড় পর্দার জন্য করা হয়েছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবেও কিন্তু বড় পর্দায় দেখানো হয়েছিল। এটা যখন সেন্সরের জন্য দেখাতে পারলাম না তখন প্রচন্ড খারাপ লেগেছে।

কোনো ছবির চিত্রনাট্য যখন লিখতে বসেন তখন কি মাথায় এটা কাজ করে—আমি পরিচালক হলে কীভাবে বানাতাম। নাকি যেহেতু বেশিরভাগ চিত্রনাট্যই বাণিজ্যিক ছবির জন্য, সেহেতু ব্যবসায়িক ব্যাপারটা মাথায় বেশি থাকে?

প্রথমত সিনেমার বা টিভির জন্য চিত্রনাট্য লেখার পুরো ব্যাপারটা টেকনিক্যাল। এ ব্যাপারে দক্ষ না হলে আপনি গল্প লিখতে পারবেন কিন্তু চিত্রনাট্য লেখা সম্ভব হবে না। টেকনিক্যাল জ্ঞান বলতে বোঝাচ্ছি, একটা দৃশ্য কীভাবে শুট করা হবে। এটি আগের দৃশ্যের সঙ্গে মিলছে কিনা। এ জ্ঞানটা থাকতেই হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বলেন কিংবা টেলিভিশন ও ফিল্ম ইন্সটিউট বলেন, আমাদের দেশে সিনেমা নিয়ে পড়ার ভালো জায়গা নেই বললেই চলে। এই যে ভালো প্রতিষ্ঠান না থাকার অভাববোধটা কাজ করতে গিয়ে কতটুকু অনুভব করেন?

এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্ম যারা আসবে তাদের জন্যও। এ অভাবটা আসলে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পূরণ হয়নি।

আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে চিত্রনাট্যকারদের যে সম্মানী দেওয়া হয় তাতে আপনারা কতটুকু সন্তুষ্ট?

অন্যান্য দেশে সিনেমার বাজেটের কতটুকু লেখকরা পাবেন, কতটুকু অন্যরা পাবেন তার একটা ভাগ করা থাকে। আমাদের এখানে এ গ্রাফটা ঠিক নাই। যে যেমনে যারে যতটুকু বুঝাতে পারে। শুনতে কেমন শোনাবে জানি না, এদেশে একমাত্র শিল্পীরাই ঠিকঠাক টাকা পান। আরও কেউ, এমনকি পরিচালকও ঠিকঠাক টাকা পান না।

সারাবাংলা/এজেডএস

আসাদ জামান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর