প্রকাশ হলো শিমুর ‘সঙ্গীতমধুরিমা’
২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫৪
সঙ্গীতে মোহ ছড়ানো দিনের স্বীকৃতি নিয়ে যাত্রা শুরু করা শিমু দে’র রবীন্দ্রসঙ্গীতের চতুর্থ একক অ্যালবাম ‘সঙ্গীতমধুরিমা’ প্রকাশ হলো আজ (২৪ অক্টোবর)। অ্যালবামটি বাজারে এনেছে ভারতের মুম্বাইয়ের ‘ফ্রাইডে ফান রেকর্ডস’র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যাতে গান রয়েছে ১০টি। হিমাদ্রি শেখর’র পরিকল্পনা ও সমন্বয়ে অ্যালবামটির সঙ্গীতায়োজনে কলকাতার পুলক সরকার এবং রেকর্ডিংয়ে ছিলেন সৌমেন পাল।
‘সঙ্গীতমধুরিমা’ প্রসঙ্গে পুলক সরকার সারাবাংলাকে বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে অনেকভাবে এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে সবসময়; হয়ে থাকে এবং হয়ে এসেছে। দেবব্রত বিশ্বাস থেকে শুরু করে সাগর সেন- যাদের গান আমরা শুনে থাকি, তাদের প্রত্যেকের গান এক্সপেরিমেন্টের ভেতর দিয়েই এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিমু দে’র কণ্ঠে প্রকাশ হলো রবীন্দ্রনাথের ১০টি গানের আয়োজন ‘সঙ্গীতমধুরিমা’।
শিমুর এবারের গানগুলো নিয়ে পুলক সরকার বলেন, শিমু অত্যন্ত যত্ন করে গানগুলো গেয়েছেন। কোথাও রবীন্দ্রনাথের নোটেশন থেকে এতটুকু বাইরে চলে যাননি। গানগুলোর ভাব ও সুর শিমু’র সুমধুর কণ্ঠে উঠে এসেছে। তার গায়ন সমসাময়িক সময়ে মানুষের জন্য বড় পাওয়া। ওর গানে সবদিক থেকে একটি পরিপূর্ণ ও পরিমিত ব্যাপার আছে। বিশেষ করে ওর গাওয়া এবং উপস্থাপনের মধ্যে। সঙ্গে যোগ হয়েছে যন্ত্রের প্রয়োগ। অনেকে এটাকে ফিউশন বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ওর গানের কোথাও কোথাও ফিউজ ও জ্যাজের সাউন্ডকে ব্লেন্ড করেছি। কোনো কোনো গানকে পয়ার সহযোগে করেছি। গ্রুপ ভায়োলিন থেকে শুরু করে জেলো, ভিয়োলা সমস্ত সিম্ফোনিক ইনস্ট্রুমেন্ট আমরা অ্যাকোয়েস্টিক করেছি। কলকাতায় লাইভ রেকর্ড হয়েছে। যা এখন খুব কম হয়। এসব সাউন্ডের যে কোয়ালিটি তা কিন্তু কি-বোর্ড দিয়ে অতটা সম্ভব নয়। এই গানগুলোতে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন যন্ত্রের মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। ফলে গানগুলোর ভাইব্রেশনই আলাদা, যা আমাদের শরীরের মিউজিক সেলে অনুরণন তৈরি করবে।
‘সঙ্গীতমধুরিমা’র পরিকল্পনাকারী হিমাদ্রি শেখর সারাবাংলাকে বলেন, আমরা যখন কোনো গান রেকর্ডিং করি তখন একটা কথা প্রায় সবাই বলে থাকি, গানটা ঠিক রেখে মিউজিকটা একটু সময়োপযোগী হলেই ভালো। যেটাকে আমরা ফিউশন বলি। আবার অনেকেই বলেন, সেটা যেন কনফিউশন না হয়ে যায়। আবার যারা বলেন তাদেরও অনেকে জানেন না এর ফারাক কোথায়। গানের বারোটা বাজিয়েও অনেকে প্রশংসা কুড়ান, আবার অনেকে ঠিক মতো গেয়েও নিন্দায় পড়ে মুখ ঢাকেন।
তিনি বলেন, শিমুর গানে আমরা কিছুটা ফিউশনের চেষ্টা করেছি। মানে গানটা ঠিক রেখে মিউজিকটা সময়োপযোগী করার চেষ্টা করেছি। সে যাই হোক আমার আর পুলক দা’র ভাবনা কতখানি সার্থক হলো, সেইসঙ্গে শিমু কেমন গাইল সেটা শ্রোতারাই বিচার করবে। আমারা ঠিক পথে চলার চেষ্টা করেছি। বাকিটা শ্রোতারা বলবেন।
নিজের অ্যালবাম নিয়ে শিমু দে সারাবাংলাকে বলেন, আমি শুধু গানটাই মন দিয়ে, প্রাণ দিয়ে গাইবার চেষ্টা করেছি। সবকিছুর পরিকল্পনা করেছেন হিমাদ্রি শেখর এবং আমাদের পারিবারিক কিছু বন্ধু-পরিজন। তাদের প্রচেষ্টাতেই আমার এই অ্যালবাম।
তিনি বলেন, সেইসঙ্গে আরও একজনের অক্লান্ত পরিশ্রম আমার কাজকে এত সুন্দর করে তুলেছে। তিনি হলেন পুলক সরকার দাদা। যার মিউজিক কম্পোজিশন এক ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। আমার মনের মতো সঙ্গীতায়োজন ছিল তাই গান গাইতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি। বরং আপনা-আপনিই গান বের হয়ে এসেছে মন থেকে। এছাড়া যিনি সাউন্ড মিক্স করেছেন তিনি একজন জাদুকর, সৌমেন পাল। সৌমেন দা আমার অরিজিনাল ভোকালটা বের করে এনেছেন, যেটা আমি সবসময় চাইতাম।
শিমু আরও বলেন, মুম্বাই থেকে বা দেশের বাইরে থেকে প্রকাশ হওয়া এটি আমার প্রথম অ্যালবাম। সেজন্য ‘সঙ্গীতমধুরিমা’ আমার কাছে পরম পাওয়া।
সারাবাংলা/পিটিএম/এএসজি
প্রকাশ হলো শিমুর ‘সঙ্গীতমধুরিমা’ শিমু দে শিমু দে মিউজিক একাডেমি সংগীতশিল্পী শিমু দে