লকডাউনে শুটিংয়ে বিড়াম্বনায় পড়েছিলেন সিয়াম-পরীরা
২০ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩৮
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পরে। আর ১৪ মার্চ থেকে আবু রায়হান জুয়েল শুটিং শুরু করেন ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর। শুটিং শুরুর পর ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয় সারাদেশে। আর কিন্তু এর মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেন পরিচালক। আর ওই সময়ে বিড়াম্বনায় পড়েন তারা। সেই গল্পই শুনালেন ছবিটির অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
ছবিটির পুরো শুটিং হয়েছিলো একটি লঞ্চে। পুরো ইউনিট ঢাকার সদরঘাট থেকে খুলনার পথে যাচ্ছিলো। এর মধ্যে লকডাউনের মধ্যে যেহেতু পরিচালক কাজ করছিলেন তাই কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিলো শুটিংয়ের লঞ্চ কোনোভাবেই তীরে ভিড়তে পারবে না।
‘লঞ্চ তীরে ভিড়তে না পারায় একসময় দেখা গেলো আমাদের খাবার শেষ। ওইদিন বাজার না করতে পারলে ইউনিটের প্রতিটা সদস্যকে না খেয়ে থাকতে হবে। তখন আমাদের প্রোডাকশনের দায়িত্বে যে ভাইয়া ছিলো তিনি ভোর পাঁচটায় পিপিই পরে একটা নৌকা নিয়ে পাশের বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। এরপর সন্ধ্যার আগে ফিরতে পেরেছিলেন। তার আগে তাকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল নিয়ম মানতে হয়েছিলো,’— বলেন সিয়াম।
তিনি আরও বলেন, শুটিং শুরুর আগে আমার আর পরীর ঘরে সন্তান ছিলো না। এখন আমরা দুজনের ঘরেই দুটি ছেলে সন্তান। তাই বলতে পারি এ ছবি আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
পরীমণি বলেন, ‘যখন লকডাউনের কারণে আমাদেরকে লঞ্চ থেকে নামতে দেওয়া হচ্ছিলো না, তখন আমি অনেক ছেলে মানুষী করেছি। আমি মাটি স্পর্শ করবো, কিন্তু করতে পারছিলাম না। পরিচালককে এ নিয়ে অনেক জ্বালিয়েছি। তারা আমাকে বেশ ভালোভাবেই সামলেছে।’
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বেইলি রোডের মহিলা সমিতিতে আয়োজন করা হয় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর পোস্টার ও ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানে এ স্মৃতিচারণ করেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমণি। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোরশেদুল ইসলাম ও লাকী ইনাম।
‘২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নামে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায় এই সিনেমার পাণ্ডুলিপি। তবে পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। এর চিত্রনাট্য করেছেন জাকারিয়া সৌখিন। সিনেমাটির জন্য প্রথমবার গান লিখেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ছবিটি আগামী ২০ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
সারাবাংলা/এজেডএস