Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে থার্টি ফাইভ -এর প্রদর্শনী

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৯

একাবিংশ ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে রোববার বিকেল পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শিত হলো আশিক মোস্তফা পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’।

একটি প্রজন্ম যারা থার্টি ফাইভ মিলিমিটারে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বড় হয়েছে। ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে যাচ্ছেন থার্টি ফাইভ মিলিমিটার এর মতই। ‘থার্টি ফাইভ’ বাংলাদেশের সেলুলয়েড সিনেমার পুরনো আবেগ আর নস্টালজিয়া খুঁজে বেড়ানো এক সৃজনশীল নতুন ধাঁচের চলচ্চিত্র। এটা বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থান-পতনের ইতিহাসের সারমর্মের প্রতিচ্ছবিও বটে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনের উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ছবির নির্বাহী প্রযোজক রবিন শামস, শরিফুল ইসলাম এবং ছবির কলাকুশলীসহ চলচ্চিত্র অঙ্গণের ব্যক্তিত্বরা। ছবিটি দেখার পর ভূয়াসী প্রসংশা করেন উপস্থিত দর্শকরা। তারা বলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য থার্টি ফাইভ-এর মতো একটি কাজের প্রয়োজন ছিলো। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বর মাসে ইরানের সিনেমা ভেরিটে চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় ছবিটির।

অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর চিত্রগ্রহণে নাম লেখান মাহফুজুর রহমান খান। পরবর্তীতে তিনি প্রতিষ্ঠিত হন দেশের অন্যতম চিত্রগ্রাহক হিসাবে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি চিত্রগ্রহণে আগ্রহী হন, তারপর বাবার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে হাতেখড়ি। চিত্রগ্রহণ শেখার উদ্দেশ্যে তিনি জহির রায়হানের লেট দেয়ার বি লাইট ছবির সেটে যেতেন। এ ছাড়া রফিকুল বারী চৌধুরী ও আবদুল লতিফ বাচ্চুর কাছ থেকে চিত্রগ্রহণের বিভিন্ন বিষয় শিখেছেন। মাহফুফুজুর রহমানের বয়ানে তুলে ধরা হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার যুগের সেই সময়ের এফডিসি কেমন ছিল, কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হতো।

বিজ্ঞাপন

নয় বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর তিন বছর পর দর্শকের সামনে এলো চলচ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’। আশিক মোস্তফা নির্মিত চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মারা যান মাহফুজুর রহমান। এই ছবিতে একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা।

থার্টি ফাইভ চলচ্চিত্রের পরিচালক আশিক মোস্তফা একজন স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এবং লেখক। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে। ২০০২ সালে ১৬ মিমি-এ নির্মাণ করেন ‘ফুলকুমার’। ‘কাল্ট ক্ল্যাসিক’ হিসাবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখন অসংখ্য নবীন নির্মাতাদের নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি ২০১৭ সালে মোবাইল ফোনে ধারণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’। ছবিটির জন্য বেস্ট শর্ট ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জিলাভা চলচ্চিত্র উৎসবে। নিভৃতচারী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ইতিমধ্যে নির্মাণ করেছেন আরও কিছু চলচ্চিত্র যার মধ্যে রয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ‘বিরানি’ ও শিল্পী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ‘মনির’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। আশিক মোস্তফার চলচ্চিত্রগুলো মূলতঃ নিরীক্ষাধর্মী ও আভাগার্দ ধাঁচের।

সারাবাংলা/এজেডএস

আইরিন সুলতানা আশিক মোস্তফা থার্টি ফাইভ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর