শেষ হলো ২১তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এবারের উৎসবে গেল ২০ জানুয়ারি প্রদর্শিত হয়েছিলো খন্দকার সুমন পরিচালিত ‘সাঁতাও’। এটি বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে দেখানো হয়েছিলো। সে বিভাগের সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে গণঅর্থয়ানের নির্মিত ছবিটি।
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস ফেডারেশন’র (ফিপরেস্কি) পক্ষ থেকে ৩ জন বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে পুরস্কারের জুরি হিসেবে ছিলেন। তারা হলেন জার্মানির চলচ্চিত্র সাংবাদিক, গবেষক ও লেখক অ্যাক্সেল টিমো পার; ইউক্রেনের চলচ্চিত্র সমালোচক, চিত্রনাট্যকার ও সাংবাদিক এলিনা রুবাশেভসকাজা এবং বাংলাদেশ থেকে থাকছেন লেখক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক বিধান রিবেরু।
পুরস্কার প্রাপ্ত হিসেবে নাম ঘোষণার আগে অ্যাক্সেল টিমো পার মঞ্চে ‘সাঁতাও’ সম্পর্কে বলেন, ‘এমন একটা ছবিকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছি, যেটি আমরা দারুণ উপভোগ করেছি। এ ছবিতে রয়েছে জলবায়ু বিপর্যয়ের কথা, একটি গরুর বাছুরের জন্য একজন মায়ের ভালোবাসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের টিকে থাকার লড়াই। এ ছবিতে রয়েছে অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির কাজ। প্রধান অভিনেত্রীর ন্যাচরাল অভিনয় এবং সংলাপের চেয়ে সিনেমার ভাষার দুর্দান্ত ব্যবহার। পরিচালক স্থানীয় ভাষায় একটি বৈশ্বিক গল্প বলেছেন।’
খন্দকার সুমনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পুরস্কার গ্রহণের সময় আবেগঘণ বক্তব্যে পরিচালক তার পরিবারের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ জুরি বোর্ডের সদস্যদের প্রতি। তারা যেভাবে আমাদের ছবিটির ভাষা পড়েছেন, তা দেখে আমি সত্যি বিস্মিত। একজন শিল্পী বা চলচ্চিত্র নির্মাতার আকাঙ্খা থাকে আমি যা লিখে দিলাম ছবির ভাষায়, সেটা যখন অন্যজন পড়তে পারে তখন মনে হয় ছবিটা সার্থক হলো।
‘সাঁতাও’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। ২৭ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।