স্বরেই যে জাত চেনায়…
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৪
মিলনায়তন ভর্তি দর্শক। তাদের চোখ ও কান সজাগ। পিনপতন নিস্তব্ধতা যেন ভাঙছেই না। হাত তালি না দিয়ে এক অজানা মোহে ডুবে আছেন দর্শকেরা। প্রথম গান শেষ হলে প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আরেকটি গান গাওয়ার কথা। কিন্তু কে জানতো মাত্র একটা গানেই নিজের জাত চেনাবেন সিরাজগঞ্জের এক অখ্যাত তরুণী। হ্যাঁ, ওইদিন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় অনন্য মানের স্বীকৃতি উঠেছিল মফস্বলের সেই শিল্পীর হাতে। আর সেই মোহ ছড়ানো দিনের স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিভাবান সেই শিল্পীটি ছিলেন আজকের শিমু দে।
বাবা শংকর কুমার দে, পেশায় একজন সংগীত শিক্ষক বলেই হয়তো ধ্রুপদী সঙ্গীতের বীজ ঢুকিয়েছিলেন নিজের পরিবারে। আর সেই পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে শিমু দে এখনও সেই আবহে নিজেকে তৈরি করে চলেছেন। যদিও শিমু তার বাবার কাছ থেকে তেমন একটা তালিম নিতে পারেননি। কারণ মেয়েকে গানের বোল শেখানোর আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন শংকর কুমার। বলতে গেলে স্থানীয় ওস্তাদ ভরত চন্দ্র প্রসাদ ও রতন লাল সূত্রধরের কাছে সঙ্গীতের প্রথম পাঠ নেন তিনি। এরপর তালিম নিয়েছেন মিতা হক, লিলি ইসলাম ও সহযোদ্ধা হিমাদ্রী শেখরের কাছে। এছাড়াও তার সঙ্গীতের ওপর রয়েছে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি।
শিমু বর্তমানে গান করছেন রেডিও, টেলিভিশন এবং মঞ্চে। এরই মধ্যে বেঙ্গলের পাশাপাশি অন্যান্য অডিও প্রযোজনা সংস্থা থেকে তার বেশকয়েকটি রবীন্দ্র সঙ্গীত ও আধুনিক গানের যৌথ অ্যালবাম বের হয়েছে।
ছোটবেলায় রবীন্দ্রসঙ্গীতে বেশকিছু পুরস্কার পেলেও জাতীয়ভাবে সেরার পুরস্কার পান ১৯৯৮ সালে। নিজের মেধার সাক্ষর দিয়ে ২০০৪ সালে জিতে নেন ভারতের কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কার। আর দেশে ২০০৩ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ থেকে পান অনন্য মান। এ ছাড়া বেঙ্গল বিকাশে শ্রেষ্ঠমান পুরস্কারটি হাতে আসে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গানের জন্য।
আজকের কথোপকথনে আমরা শুনবো এই গুণী শিল্পীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প …
https://youtu.be/WjHGGZ3-6uc
সারাবাংলা/এএসজি
ওস্তাদ ভরত চন্দ্র প্রসাদ কথোপকথন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ বাংলাদেশ বেতার বেঙ্গল বিকাশ মিতা হক রতন লাল সূত্রধর রবীন্দ্র সঙ্গীত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম শংকর কুমার দে শিমু দে সংগীতশিল্পী সারাবাংলা কথোপকথন হিমাদ্রী শেখর