Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জেকে ১৯৭১’ নিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে যাত্রা ফাখরুল আরেফীন খানের


২ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৩

লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজক ফাখরুল আরেফীন খান। দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অতি আলোচিত মুখ। ‘জেকে ১৯৭১’ দিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রের পথে যাত্রা শুরু করছেন তিনি। তার চলচ্চিত্র নির্মাণ, ভাবনা ও পথচলা নিয়ে আলাপ করেছেন সারাবাংলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সন্দীপন বসু

ফাখরুল আরেফীন খানের চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্নের শুরুটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র আন্দোলন দিয়ে। ভিতটা বুনে দিয়েছিলেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল। সেই স্বপ্ন থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শন অনুসারীদের জীবন কাহিনী নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘হক এর ঘর’ নির্মাণ। এরপর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র’ বিজয়ী ‘আল-বদর’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের উপর প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য স্পিচ’। এরপর সাফল্যের পালকে তুমুল প্রসংশিত চলচ্চিত্র ‘ভুবন মাঝি’ আর দ্বিতীয় সিনেমা ‘গণ্ডি’র সংযোজন। আর তার ক্যারিয়ারে তৃতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য ও প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ‘জেকে ১৯৭১’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: ‘জেকে ১৯৭১’ নিয়ে তো অনেক আলোচনা হচ্ছে। চলচ্চিত্রবোদ্ধা-শিল্পীমহলেও প্রশংসিত হচ্ছে ছবিটি। আপনি ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবেও গিয়েছেন। সেখানে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখেছেন?

ফাখরুল আরেফীন খান: প্রতিক্রিয়া তো বিভিন্ন রকম হয়। কারও ভালো লাগে, কারও খারাপ। তবে জেকে-৭১ নিয়ে সামগ্রিকভাবে সবার কাছে একটি পজেটিভ রেসপন্স পেয়েছি। প্রশংসা করেছেন অধিকাংশ মানুষ। যদিও এই সিনেমাটি আমার প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নির্মাণ। অনেক সংগ্রামের ফসল সিনেমাটি। তবুও একটি কথা বলবো, ব্যক্তিগতভাবে জেকে-৭১ নির্মান করে আমি সন্তুষ্ট নই। এই সিনেমাটি নির্মাণে নানারকম চ্যালেঞ্জের কারণে আমরা যে স্তরে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি, সেই স্তরে পৌঁছাতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: ‘জেকে ১৯৭১’ এ ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়ের গল্পটা আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে অনেকটা অজানা ইতিহাস। এই ঘটনাটিকেই কেন সিনেমার উপজীব্য বানালেন? এই ঘটনাটি নিয়ে ছবি বানানোর চিন্তা কখন মাথায় এলো?

ফাখরুল আরেফীন খান: ২০১৫ সালে একটা ফিচার পড়ে আমি এই ঘটনাটি প্রথম জানতে পারি। তখন থেকেই এটা মাথায় ছিল। ২০২০ সালে এসে মাথায় এল, ২০২১ এ তো বাংলাদেশের ৫০ বছর হবে। মনে হল, কালচারালি আমরা আমাদের ফরেন ফাইটারদের যথার্থভাবে ট্রিবিউট করিনি। তখনই মাথায় আসে, এটা তো করা যায়- ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়েরের এই দুঃসাহসিকতা ও মানবিকতার দৃষ্টান্তটিকে তুলে ধরে এই বিদেশি যোদ্ধার প্রতি আমাদের সম্মান প্রদর্শন করা যায়। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একজন মানুষের গল্প বলা, যিনি আমাদের দেশের মানুষের জন্য; শরণার্থী শিশুদের ভালোবেসে নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসে জাতিগতভাবে সেই বীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জায়গা থেকে এই কাজটি করেছি। আরেকটা বিষয়, আন্তর্জাতিক দর্শকদের দেখানোর জন্য ইংরেজিতে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সিনেমা নেই। সেই শূন্যস্থানটিও পূরণের ইচ্ছে ছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমসাময়িক ফরাসি যুবকের এই ঘটনাটি বিশ্বের এক বিরল ঘটনা। এটা বিশ্বের ইতিহাসে এমন কোথাও ঘটে নাই, যেখানে হাইজ্যাকের শিকার হওয়া যাত্রীরা হাইজ্যাকারকে সাহায্য করছে। এবং একজন মানুষ একা এমন একটা কারণে একটা গোটা বিমান হাইজ্যাক করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনাও নাই। আরও একটা কারণে এটা বিরল ঘটনা, একজন মানুষ সাধারণত প্লেন হাইজ্যাক করে সাধারণত কোনো মানুষ বা বন্দির মুক্তি দাবি করে। সে শিশুদের প্রাণরক্ষার জন্য চেষ্টা করেছে। তা ও আবার কোন শিশু? যে শিশুদের সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয়, দর্শন কোনো দিক থেকে সম্পর্ক নেই। একেবারেই মানবিক জায়গা থেকে ফরাসি যুবক জ্যাঁ কুয়ের এটা করেছে।

এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা না করা বা ঘটনাটিকে আলোচনায় না নিয়ে আসাটা বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের উচিত হয়নি। সে কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে আমরা চলচ্চিত্রটি নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এবং দর্শকদের কাছে আমরা চলচ্চিত্রটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটাই আমাদের কাজ, আমরা আমাদের কাজটুকু করার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শকদের ওপর। আর দর্শকের ভালো লাগা না লাগা এটা তাদের ব্যাপার।

সারাবাংলা: যতদূর জানি বাংলাদেশের মুক্তিকামীদের বন্ধু জ্যঁ কুয়ের মারা গেছেন। উনি বা উনার পরিবারের কেউ কি বাংলাদেশে মুক্তিসংগ্রামে তার অবদান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি জানেন? জানলে তাদের প্রতিক্রিয়া কী?

ফাখরুল আরেফীন খান: জ্যঁ কুয়ের ২০১২ সালে মারা গেছেন। উনার তিন মেয়ে রয়েছে। তাদের একজন যিনি নিউইয়র্কে থাকেন, তিনি বিষয়টি জানেন। তার কাছ থেকে বাকিরা জেনেছে কি না তা এখন বলতে পারছি না। এছাড়া ফ্রান্সে তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। যারা আমাদের এই নির্মাণটি নিয়ে অনেক আপ্লুত।

সারাবাংলা: ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমাটিকে আপনি আপনার অনেক সংগ্রামের ফসল বলেছেন। এই সিনেমার পেছনে সেই ‘সংগ্রামের’ কথাগুলো যদি বলতেন।

ফাখরুল আরেফীন খান: যে সময়টাতে আমরা সিনেমাটির নির্মান শুরু করি তখন কোভিডের সময়। আপনি জানেন সিনেমাটির পটভূমি ফ্রান্সে ও ঘটনাও ফ্রান্সকেন্দ্রিক বলে এই সিনেমার প্রায় ৯৯ শতাংশ আর্টিষ্টই বিদেশি। শ্যূটিংয়ের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম কলকাতাকে। কোভিডের মধ্যে কলকাতায় ফ্লোর ভাড়া করে এই ধরণের একটি সিনেমার নির্মাণ অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর মধ্যে আমাদের শুটিংয়ের শুরুতেই বর্ষায় আমাদের ফ্লোর ডুবে যায়। কোভিডজনিত বিভিন্ন কারণে আমরা বিরাট একটা অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে পড়ে যাই। একপর্যায়ে শুটিং বন্ধ করে দিতে হয়। আবার অনেকদিন পরে শুটিং শুরু করতে হয়েছিল। সবকিছু মিলে এই ছবিটার জার্নিটাতে অনেক সংগ্রাম ছিল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেনি ছবিটি কোনোদিন আমরা শেষ করতে পারব।

সারাবাংলা: বিভিন্ন প্রদর্শনীতে সাফল্য আর দর্শকের করতালিতে নিশ্চয়ই সংগ্রামের কষ্টগুলো মুছে গেছে। কষ্ট সার্থক হয়েছে এটা নিশ্চয়ই এখন বলাই যায়। দর্শক ও বোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়া আপনি কীভাবে দেখছেন?

ফাখরুল আরেফীন খান: সত্যি বলতে দর্শকের করতালি আমাকে এখন আর আপ্লুত করে না। আমি সিনেমা বানাই, এটি বানিয়ে আমি আনন্দ পাই। তাই বানাই। তবে যে কোনো প্রতিক্রিয়া আমাকে জানতে-বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে সাহায্য করে এটা বলতে পারি।

সারাবাংলা: আন্তর্জাতিক সিনেমা নির্মাতা হিসেবে আপনার যাত্রা শুরু ‘জেকে-৭১’ দিয়েই। সিনেমার প্রচার-প্রসার নিয়ে নতুন এই পথে পথচলা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো কীভাবে দেখছেন?

ফাখরুল আরেফীন খান: এটা নতুন একটা জার্নি। শিখছি অনেক। নানারকম কমিউনিকেশন হচ্ছে। অনেক জায়গায় আটকে যাচ্ছি, আবার চেষ্টা করছি। সামনেই মুম্বাই যাবো। সেখানে চেষ্টা করবো কিছু ভালো ডিস্ট্রিবিউটর খুঁজে পাওয়ার জন্য। এভাবেই কাজ এগিয়ে নিতে হচ্ছে। বাংলাদেশে যে প্রচারণা দরকার ছিল সেটি আমি করতে পারিনি। সেই সামর্থ্যও আমার নেই।


সারাবাংলা:
আপনার ভুবনমাঝি’তে পরমব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, গণ্ডিতে সব্যসাচী চক্রবর্তী আর ‘জেকে-৭১’ এ তো পুরোপুরি আন্তর্জাতিক স্টার কাস্ট। এর নেপথ্যের কারণটা কী? কাজের স্বাচ্ছন্দ্য নাকি অন্যকিছু?

ফাখরুল আরেফীন খান: এটা তো একজন শিল্পীর স্বাধীনতা। একজন পরিচালকের তো শিল্পী নির্ধারণ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত। আমরা পরিচালকরা কী করি? আমরা চরিত্রের প্রয়োজনে মানানসই অভিনেতা অভিনেত্রী খুঁজি, মনে মনে কল্পনা করি। এখানে ভারত-পাকিস্তান, ইহুদি-খ্রিস্টান ডেকে আনলে তো একজন শিল্পীর স্বাধীনতা থাকে না। একজন শিল্পীকে বিভিন্ন সাদা-কালো, ধর্ম-জাতীয়তার ব্যারিয়ারে বেঁধে ফেললে তো আর শিল্পীসত্তাটি থাকে না। আমার কোন ক্যারেক্টারে কে মানানসই, চরিত্র কাকে ডিমান্ড করে সেটি অবশ্যই একজন পরিচালক বুঝবেন। শিল্পী বুঝবেন, এটাই আমি মনে করি।

পরমব্রতকে যখন ভুবনমাঝির জন্য কাস্ট করি- তখনও আমাকে এ ধরণের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু সেই ২০১৭ সালে ভুবনমাঝি পশ্চিমবঙ্গের ১৮টা হল ও সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে। আমি তখন বলেছিলাম, বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পীরা একদিন পশ্চিমবাংলায় স্টাবলিশ হবে। আজ সেটা হচ্ছে। এগুলো তো সাফল্যের গল্প। এটাই তো আমাদের প্রেরণা হওয়া উচিত।

সারাবাংলা: আমাদের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে বিশ্বে মুক্তিকামী মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। যেমন পাকিস্তানের সমর্থনে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যখন রওয়ানা হবার কথা তখন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অভাবনীয় প্রতিরোধ এখনও আমাদের অশ্রুসিক্ত করে। মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী চির অম্লান। এমন বিষয়গুলো নিয়ে কি ভবিষ্যতে আপনার কাজ দেখতে পাবো?

ফাখরুল আরেফীন খান: এখানে একটি বিষয় একটু স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কখনোই কাজ করিনি, আমি মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু মানুষের মানবিক যুদ্ধ নিয়ে কাজ করেছি। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, ভুবনমাঝির মুল চরিত্র নহির- সে যুদ্ধ ভালোবাসত না। কিন্তু মানুষকে বাঁচানোর জন্য সে কিছু খারাপ মানুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল। সেই প্লটটা ছিল মুক্তিযুদ্ধ। আমি মুক্তিযুদ্ধকে যখনই মানবিক যুদ্ধের সঙ্গে মেলাতে পারি, তখনই তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি।

আপনি ‘জেকে ১৯৭১’ এর গল্পটা দেখেন। একজন ফরাসি যুবক, যার সঙ্গে আমাদের কোনো মিল নেই- সে কেবল যুদ্ধচলাকালে শিশুদের বাঁচানোর জন্য পিআইএ-এর একটি বিমান হাইজ্যাক করে বসেছে। সেই যুবক জ্যাঁ কুয়ের; কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়ে বিমানটি হাইজ্যাক করেননি। তিনি করেছিলেন শিশুদের জন্য- মানবিক কারণে। মানুষের মানবিক মর্যাদার জন্য যারা লড়েছেন, যারা মানবিকতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাদের চরিত্র আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। তবে হ্যাঁ, একই বিষয়ে আমি দুটো সিনেমা বানিয়েছি, যার প্লট মুক্তিযুদ্ধ।

সারাবাংলা: আরেকটা বিষয় জানার ছিলো, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে ‘অবিনশ্বর’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মান করছিলেন আপনি। সেটি কি অবস্থায় আছে? বা কবে মুক্তি পাবে?

ফাখরুল আরেফীন খান: ‘অবিনশ্বর’ এর প্রিমিয়ার শো হয়ে গেছে। এটা এখন আমরা ওটিটি প্লাটফর্মে কথা বলছি। তারা যদি নেয়, তাহলে সেটি আমরা দিয়ে দেব।

সারাবাংলা: একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে ওঠার পথচলাটা জানতে চাই।

ফাখরুল আরেফীন খান: আমি কখনোই চলচ্চিত্রনির্মাতা হতে চাইনি। আই অ্যাম এ জাস্ট এক্সিডেন্টাল ফিল্মমেকার। চলচ্চিত্র আন্দোলনের একটিভিস্ট ছিলাম। ২০০৭ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছি। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশার শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ছিলাম। আজকের কাগজ, চ্যানেল আইতে কাজ করেছি। তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল- এরাই আমার বুকে চলচ্চিত্রের স্বপ্নটা বুনে দিয়েছিলেন। তারেক ভাই ২০০০ সালে আমাদের চলচ্চিত্রবিষয়ক একটি লং ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্স করিয়েছিলেন। তারপর থেকেই চলচ্চিত্রের পোকা মাথায়।

সারাবাংলা: ক্যারিয়ার হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়টি বাংলাদেশে কতখানি বাস্তবসম্মত বা গ্রহণযোগ্য? তরুণদের মধ্যে যারা আপনাদের দেখে বা অনুপ্রাণিত হয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মান বিষয়ে যুক্ত হতে চাইছেন তাদের উদেশ্যে কী বলবেন?

ফাখরুল আরেফীন খান: ফিল্ম মেকিংকে প্রফেশনালি নেওয়া বাংলাদেশে এখনও এতোটা সহজ হয়েছে এটা আমি বলবো না। তবে এখন তো ওটিটির যুগ, অনেক সুযোগ এসেছে। অপশনগুলোও অনেক। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি নিজেই ফ্লিম মেকিংকে প্রফেশনালি নেইনি। যা বানানোর চেষ্টা করেছি, সেটা প্যাশন থেকে- ভালো লাগার জায়গা থেকে বানানোর চেষ্টা করেছি। এই যে অর্থের লগ্নি, সেটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা- এই বিষয়গুলোতে আমার অনাগ্রহ ছিল এবং আছে।

সারাবাংলা: আপনার পরের পরিকল্পনাগুলো কী? আপনার দর্শকরা জানতে চায়।

ফাখরুল আরেফীন খান: অনেককিছু নিয়েই তো ভাবনা মাথায় আছে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে ভাবি, হিউম্যান ট্রাফিকিং নিয়ে ভাবি। একটা কিছু হবে আর কি। দেখা যাক কী হয়!

সারাবাংলা/এসবিডিই/এমও

জেকে ১৯৭১ জেকে-৭১ ফাখরুল আরেফীন খান বিশ্ব চলচ্চিত্র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর