পাঠানের সেন্সর সার্টিফিকেটে মেয়াদ কেন?
১২ মে ২০২৩ ১৬:০৮
অনেক কাঠ খড় পুড়ানোর পর বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে হিন্দি ছবি ‘পাঠান’। শুক্রবার (১২ মে) থেকে দেশের ৪১টি সিনেমা হলে প্রতিদিন ২০৬টি শো চলছে ছবিটির। বেশিরভাগ শোয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। হল মালিকরা বাড়িয়েছেন টিকেটের দাম। কিন্তু আমদানিকারক ছবিটি দেশে চালাতে পারবেন মাত্র এক বছর। কারণ এর সেন্সর সার্টিফিকেটের মেয়াদ মাত্র এক বছর।
গেল ৭ মে ইস্যু করা হয় ‘পাঠান’-এর সেন্সর সার্টিফিকেট। যার নম্বর এফসিএফ-০১/২০২৩। যেটিতে আবেদনকারী হিসেবে নাম আছে অনন্য মামুনের। ছবিটির বাংলাদেশের সিনেমা হলে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট ১৬ সেকেন্ড। সার্টিফিকেটের উপরে এর মেয়াদ হিসেবে লেখা হয়েছে ৬ মে ২০২৪। কিন্তু কেনো এ মেয়াদ, এর বেশি সময় কি ছবিটি এ দেশে চালানো যাবে?
সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনউদ্দিন সারাবাংলার কাছে বিষয়টির ব্যাখা দিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশি ছবির ক্ষেত্রে সেন্সর সার্টিফিকেটে কোনো মেয়াদ থাকে না। বিদেশি ছবির ক্ষেত্রে আমরা এ মেয়াদ দিই। এর কারণ হচ্ছে, বিদেশি ছবিগুলো তো আমদানি করতে হয়। ওখানকার রফতানিকারকের সঙ্গে এদেশিয় আমদানিকারকের কতদিন ছবিটি চালাতে পারবেন তার চুক্তিতে একটি মেয়াদ থাকে। তাদের চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী আমরা সেন্সর সার্টিফিকেটে সে মেয়াদ উল্লেখ করে দিই। সাধারণত এ মেয়াদ এক বছরের হয়।’
যদি কেউ ছবিটি এরপরও এদেশে চালাতে চায় তাহলে তাকে নতুন করে আমদানি করতে হবে। শুধু তাই নয়, আবার তাকে সেন্সর সার্টিফিকেট নিতে হবে বলেও জানান মো. মঈনউদ্দিন।
উল্লেখ্য প্রতি বছর দেশে ৬০ থেকে ৭০টি হলিউডের ছবি আমদানি হয়। এর সঙ্গে গেল ১০ এপ্রিল জারি করা সরকারি নির্দেশনানুযায়ী আগামী দুই বছরের জন্য ১৮টি হিন্দি তথা বলিউডের ছবি আমদানি করা যাবে। এগুলোর সবগুলোর সেন্সর সার্টিফিকেটে এমন মেয়াদ থাকবে।
সারাবাংলা/এজেডএস