Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪০-এ ‘কণ্ঠশীলন’, বছরব্যাপী আয়োজনের শুভারম্ভ

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
২০ মে ২০২৩ ১৪:০৪

সংস্কৃতি সংগ্রাম আদর্শে সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান ‘কণ্ঠশীলন’ চল্লিশ বছরে পদার্পণ করেছে। রবীন্দ্রসাধক, শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হকের দেওয়া নাম গ্রহণ করে ১৩৯১ সালের ২রা বৈশাখ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘বাক্সময় উচ্চার-চর্চা কেন্দ্র’ নামে কণ্ঠশীলনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সময়ের পরিক্রমায় ‘প্রমিত উচ্চারণ, বানান ও আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ এবং ‘সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান’ নামে পরিচিতি পায় ‘কণ্ঠশীলন’।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় ঢাকার পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের ড. আসমা চৌধুরী মিলনায়তনে কণ্ঠশীলনের ৪০ বছর উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় ‘কবিতায় সারাবেলা এবং রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, গবেষক অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ার। অনুষ্ঠানে ১৩জন আবৃত্তিশিল্পী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৮টি কবিতা আবৃত্তি করেন। আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন, মো. জাহিদ হোসেন শোয়েব, আইভী ভূঁইয়া, উৎপল বর্ণা চৌধুরী, তানজিনা খান, মারিয়া কিবতিয়া, বাদল সাহা শোভন, আফরিন খান, নাহিদা আখতার লোপা, কাজী সিরাজুম মুনীরা যূঁথী, হোমায়রা আহমেদ, নুরে জিনাত আরা, মালা ভৌমিক ও মিনহাজুল বশির শোভন। আলোচনা করেন রইস উল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, বিলকিস আহমেদ ও লিটন বারুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন, জে.এম মারুফ সিদ্দিকী ও শিরিন সুলতানা মিথিলা। কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকতের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সারা বছরের আয়োজনে থাকছে একক আবৃত্তি, আবৃত্তি প্রযোজনা, সেমিনার, মঞ্চনাটক এবং শেষ হবে ৩দিন ব্যাপী ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসবের মাধ্যমে।

সুন্দরভাবে কথা বলার আধুনিক শিক্ষা ও চর্চার ব্রত নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় চার দশক আগে, তা আজ বাংলা ভাষা চর্চার এক পিঠস্থানে পরিণত হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে এই দীর্ঘ সময় ধরে মাতৃভাষা’র প্রমিতরূপ, আঞ্চলিকরূপ, তার যথাযথ উচ্চারণ, বানান ও আবৃত্তি শিক্ষার কোর্স পরিচালনা করলেও কণ্ঠশীলন সাকুল্যে মানুষ গড়ার এক মানবিক স্থান বলে চিহ্নিত করতে পেরেছে নিজেদের। ‘কণ্ঠশীলন’ বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও প্রসারে যেমন আবৃত্তি, ছড়া নিয়ে কাজ করছে, তেমনি মঞ্চনাটকেও সেই সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন ধাপে কণ্ঠশীলনের কাজে যুক্ত থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন, উদ্ভাসিত করেছেন বাংলা সাহিত্যের সেরা কয়েকজন মানুষ, দেশের সেরা চিন্তাবিদ- যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাক্শিল্পী অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস, পটুয়া কামরুল হাসান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, কবি শামসুর রাহমান, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক শওকত আলী, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এএসজি

৪০ পেরিয়ে ‘কণ্ঠশীলন’- বছরব্যাপী আয়োজনের শুভারম্ভ কণ্ঠশীলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর