জেগে উঠছে ‘গহীন বালুচর’ (Video Exclusive)
১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:৫৪
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
‘রোমান্স করতে কার না ভালো লাগে’ তানভীরের সহজ স্বীকারোক্তি। ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার নায়ক! ‘নায়ক বলবো? নাহ, থাক, নায়ক কে, সে পরে বোঝা যাবে।’ রোমান্সের কথা বলতেই হেসে কুটি কুটি তানভীর বলছিলেন। কথাগুলো বলতে একটু লজ্জাও পাচ্ছিলেন। কারণ দাঁড়িয়ে ছিলেন ছবির দুই অভিনেত্রীর মাঝখানে। নীলা এবং মুন- এ দুইয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানভীর। এটি তার প্রথম সিনেমা।
লাক্স সুন্দরী নীলাঞ্জনা নীলা। প্রথম ছবিতেই পেয়েছেন গ্রামের মেয়ের চরিত্র। তাই খাটতেও হয়েছে বেশ। তিন মাস সিনেমা, চরিত্র, অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিতে হয়েছে প্রস্তুতি। ‘জটিলতাহীন মন আমার, স্বভাব স্বপ্ন দেখা। শেষতক মেয়েটি তার স্বপ্নকে স্পর্শ করতে পারবে কি না? উত্তর পাবেন সিনেমায় ’ বললেন নীলা।
আর পারুল। স্বভাবে একটু অবুঝ হলেও অভিনয় করেছেন খুব বুঝদার চরিত্রে। সবার চাওয়া-পাওয়া মেটাতে নিজের নাক কাটতেও দ্বিধা করে না এই চরিত্র। জীবনে কতটুকু ছাড় দেবেন? জানতে চাইলে দেখতে হবে গহীন বালুচর।
প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা হয়েছে এই তিন অভিনয়শিল্পীর। নীলা, মুন ও তানভীর অভিনয় করেছেন পানিতে-নৌকায়। কিন্তু সাঁতার জানেন না কেউ। তানভীর কিছুটা জানেন। কিন্তু সেই সাঁতারে টিকে থাকা যাবে বড়জোর সুইমিং পুলে। নদীতে তাই তিন শিল্পীকে বাঁচানোর জন্য রাখতে হয়েছে উদ্ধারকারী।
বরিশালে হয়েছে পুরো ছবির শুটিং। দৃশ্যধারণের সময় এলাকার মানুষদের উৎসুক দৃষ্টি, বিভিন্ন মন্তব্যে কখনো আনন্দ, কখনো বিব্রত হয়েছেন তারা। এমন নানান অভিজ্ঞতার কথা কেউ জিজ্ঞেস করলেই হড়হড় করে বলেছেন সে সব গল্প।
এ তো গেল ঘটনার পেছনের ঘটনা।
ঘটনাটা হলো, ২৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত সরকারী অনুদানের ছবি গহীন বালুচর। তানভীর-নীলা-মুন ত্রয়ী ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, জিতু আহসান, শাহাদাৎ হোসেন।
প্রকাশিত সিনেমার ট্রেইলারের অধিকাংশ দৃশ্যে ক্রোধ, হিংসা, ক্ষমতা ও মৃত্যু। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গহীন বালুচর নাকি প্রেমের গল্প! কীভাবে? সৌদ বললেন, ‘আমি মূলত প্রেমের গল্পই বলতে চেয়েছি। আর তার আশপাশের উপাদান হিসেবে এসেছে চর দখল, ক্ষমতার লড়াই। এগুলো আমাদের চিরচেনা পরিবেশ ও গ্রামের দৃশ্য।
প্রচন্ড ইতিবাচক চরিত্র রুনা খানের। চরিত্রের নাম শামীমা। তার রয়েছে অনেক বঞ্চনা, আছে অনেক না পাওয়া। যেমনটি হয় পিছিয়ে থাকা অন্য নারীদের। এর মধ্যেই বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা দর্শকদের মাঝে ছড়িয়ে দেবে চরিত্রটি।
‘ডরাইছো কমলা’, অনেক ক্ষয়ক্ষতি আর কূটচালের পর সহজ-সরল কমলাকে এই প্রশ্ন করেন সুবর্ণা। ছবির ট্রেইলারে সুবর্ণার কণ্ঠে শুধু ক্রোধ আর হিংসা। ‘পরিচালক যেমন চেয়েছেন তেমন অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। পুরো ছবি জুড়ে আমরা যতই উচ্চবাচ্য করি না কেন, জয় হয়েছে প্রেমের। মন্দ কাজ পরাজিত হয়েছে ভালোবাসার কাছে, বরাবরের মতো।’
ছবির গল্প দেশের দর্শকদের কাছে পরিচিত। তবে গল্প বলার ঢং, গল্পের রহস্য, টেনশন তৈরিতে নতুন কিছু পাবেন দর্শকরা- জানিয়েছেন পরিচালক।
ছবি : নূর
সারাবাংলা/পিএ/কেবিএন