কোক স্টুডিওতে এবার কাওয়ালি ‘দেওয়ানা’
২৫ জুন ২০২৩ ১৩:১৭
কোক স্টুডিও বাংলা-র দ্বিতীয় সিজনের অষ্টম গান ‘দেওয়ানা ’ প্রকাশিত হয়েছে। ফুয়াদ আলমুক্তাদিরের দুর্দান্ত সঙ্গীত প্রযোজনায় গানটি এই ঈদ-উল-আযহায় দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তুলবে। মোহাম্মাদ আব্দুল গণি ওরফে গণি পাগলের লেখা গানটি নতুন সঙ্গীতায়োজনে গেয়েছেন প্রথম সিজনের তারকা, সৌম্য মুর্শিদাবাদী নামে খ্যাত সৌম্যদীপ শিকদার। তার সাথে ছিলেন তাসফিয়া ফাতিমা (তাশফি) এবং সূচনা শেলী।
‘দেওয়ানা’ হলো ঈশ্বরের ভালোবাসা, ঈশ্বরকে কাছে পাওয়ার আকুলতা। গণি পাগল ছিলেন একজন কাওয়ালি শিল্পী। অধিকাংশ কাওয়ালি গানের মতো তিনিও তার গান পরম করুণাময়ের প্রতিই নিবেদন করতেন। গানটির কথায় কাওয়ালি সংস্কৃতি ফুটে উঠলেও সুরের দিক থেকে এটি অনেক ভিন্ন ধরনের। বাংলা কাওয়ালির সুর নিমেষেই শ্রোতাদের মন ভালো করে দিতে পারে।
নিজের সিগনেচার স্টাইলে বাংলা কাওয়ালি সঙ্গীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ফুয়াদ আলমুক্তাদির। সৌম্য মুর্শিদাবাদী’র সুরেলা গজলের মতো কণ্ঠের সাথে যুক্ত হয়েছে তাশফি ও সূচনা শেলী’র শ্রুতিমধুর ডুয়েট। ঐতিহ্যের সাথে মাতিয়ে তোলা সুর, পপ বেজলাইন এবং সমসাময়িক সব উপাদানের মিশেলে বাংলা কাওয়ালি সঙ্গীতের রিয়েল ম্যাজিক ফুটে উঠেছে। মূল শিল্পীরা ছাড়াও গানটিতে শায়ান চৌধুরী অর্ণবকে একতারা হাতে দেখা যাবে, আরও থাকবেন রিপন কুমার সরকার (বগা)। দর্শক-শ্রোতারা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লাবিক কামাল গৌরব এবং মোক্তাদির দেওয়ান শান্তর দোতারা এবং বিটবক্সিং-এর জাদুকরী ডুয়েটও উপভোগ করেছেন।
ফুয়াদ আলমুক্তাদির বলেন, “বাংলা কাওয়ালির সাথে আধুনিক সুরকে মেলানো বেশ মজাদার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এই কাজটা আমরা দারুণ উপভোগ করেছি। আমাদের পর্দার পেছনের প্রচেষ্টার ফলাফল হিসেবে চমৎকার একটা গান তৈরি হয়েছে, এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আশা করছি, ঈদের সময় সবাই এই গান উপভোগ করবেন।”
সৌম্যদীপ শিকদার (সৌম্য মুর্শিদাবাদী)’র মতে, “কোক স্টুডিও বাংলা-র দু’টি সিজনেই আমি পারফর্ম করেছি এবং গান দু’টি একটি অপরটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটাই এই প্ল্যাটফর্মের সৌন্দর্য, এখানে আমরা নতুন কিছু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি। ‘দেওয়ানা’ গানটির সাথে দর্শক-শ্রোতারা সংযোগ ঘটাতে পারবেন, তারা গানটি উপভোগ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।”
তাসফিয়া ফাতিমা তাশফি বলেন, “কোক স্টুডিও বাংলা-য় পারফর্ম করা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। প্রতিটা গানেই আমরা আধুনিকতার সাথে বাংলা সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করি।”
সূচনা শেলী বলেছেন, “দেওয়ানা গানটির মধ্য দিয়ে সঙ্গীতপ্রেমী এই জাতির চিত্রই তুলে ধরে। আমাদের বিশ্বাস, এই গানটির পাওয়ার-প্যাকড সুরের তালে দর্শক-শ্রোতারা নেচে উঠবেন।”
সারাবাংলা/এজেডএস