ঈদ আয়োজনে সীমান্ত সজলের ‘ঘুমন্ত পাখি’
২৯ জুন ২০২৩ ২০:০০
ঈদুল আযহা উপলক্ষে নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ঘুমন্ত পাখি’। সুমনা ইসলাম’র রচনায় এই টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছেন সীমান্ত সজল। আর এতে অভিনয় করেছেন সজল, সাদিয়া আয়মান প্রমুখ।
টেলিফিল্মটির গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র জোনাকি চঞ্চলা মিষ্টি মেয়ে। কলেজে পড়াশোনা করলেও এখনো তার খেলার সাথী গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। বাচ্চাদের সাথে পাখি পাখি খেলে, ফুলের মালা গাঁথে, পুতুল বিয়ে দিয়ে কলার পাতায় মিষ্টিমুখ করে। জোনাকির এই পাখির মত জীবনের ছন্দপতন ঘটে যখন পাশের গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে রাশেদ ঘটক আলতার মাধ্যমে তার বাবা মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। মা রাজি না থাকলেও বাবার জোরাজুরিতে বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায়।
বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে নতুন জীবনে তাল মিলিয়ে চলতে সহজ-সরল জোনাকির কিছুটা কষ্ট হয়। রাশেদের মা শুরু থেকেই ছেলের বউকে ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। তাই বউয়ের সামান্য ভুল দেখলেই বকাঝকা করতে থাকেন। জোনাকি কষ্ট পায়। রাশেদ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে জোনাকিকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয় এবং ধৈর্য্য ধরার জন্য বলে। কিন্তু কোন একদিন জোনাকি আবারও ভুল করে ফেললে সবার সামনে তার শ্বাশুড়ি তাকে চরম অপমান করে। স্বামী রাশেদও সেই রাতে তাকে অনেক কটুকথা শোনায়। মানতে না পেরে জোনাকি চিঠি লিখে সেই রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সকালে চিঠি পেয়ে রাশেদ অস্থির হয়ে জোনাকিকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলে না আর।
এদিকে জোনাকি বাপের বাড়ি না গিয়ে তার খালার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। খালার পরামর্শে জোনাকি তার স্বামীকে দিনের পর দিন চিঠি লেখে। কিন্তু একটা চিঠিও তার স্বামীর হাতে পড়ে না সবগুলো চিঠি তার শ্বাশুড়ি লুকিয়ে রাখে। জোনাকির বাবা মেয়েকে দেখার জন্য শ্বশুরবাড়িতে এসে জানতে পারে মেয়ে সেখানে নেই। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
‘ঘুমন্ত পাখি’ টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে ঈদের ২য় দিন (শুক্রবার) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে।
সারাবাংলা/এএসজি