Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭৭ বছরে চলে গেলেন ‘ঘুড্ডি’ নির্মাতা

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৫০

স্বাধীনতার পর এ দেশে যে কয়টি ক্লাসিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘ঘুড্ডি’। উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে তৈরি ছবিটি আজও দর্শকের কাছে সমসাময়িক মনে হয়। অসাধারণ এ ছবিটির নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী না ফেরা দেশে চলে গেছেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

নির্মাতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায়ও ধানমন্ডির বাসায় ছিলেন জাকী। সব ঠিকঠাকভাবে চলছিল। রাত দশটার পর হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর দ্রুত রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এই পরিচালককে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান তিনি মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ নির্মাতা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এর মধ্যেও তিনি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘ঘুড্ডি ২’-এর। কিন্তু সে ছবিটি আর শেষ করে যেতে পারলেন না তিনি। যাতে অভিনয়ের কথা ছিলো আফজাল হোসেনের।

১৯৪৬ সালের ২৬ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা দুজনেই কানাডায় থাকেন। জানা গেছে, সন্তানরা দেশে ফেরার পর পিতার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’র কাহিনি লিখে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। গত শতকের নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় দুটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেন। একটি ‘অপরাজেয় একা’ অন্যটি ‘ক্রান্তিকাল’। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ইচ্ছেমতো ছোটাছুটি করতে পারতেন না সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। মন চাইলে যখন-তখন শুটিংয়েও যেতে পারতেন না। তারপরও তাঁকে দমানো যায়নি। হুইলচেয়ারে বসেই ক্যারিয়ারের ৭ নম্বর চলচ্চিত্রটি বানান ‘ঘুড্ডি’খ্যাত নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। ‘অপরাজেয় একা’ সেই নামের ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

বিজ্ঞাপন

তার নির্মিত ‘‘ঘুড্ডি’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালের ১৯ ডিসেম্বর। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সূবর্ণা মোস্তফা। এটি তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল। এছাড়া আরও অভিনয় করেন অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, তারিক আনাম খান, নায়লা আজাদ নূপুর, সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ। ছবিটি ওই সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয়। ছবিটিতে ব্যবহৃত ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনও দর্শক-শ্রোতাদের কাছে সমান জনপ্রিয়।

সারাবাংলা/এজেডএস

ঘুড্ডি সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর