মনোজ-নাদিয়ার ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৩
এক বছর ধরে মিলন তমাকে ওর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। তখন থেকেই তমা আর মিলনের মধ্যে ভালোলাগার শুরু। মুখে ভালোবাসার কথা না বললেও তাদের দু’জনেরই পরষ্পরের প্রতি অনুভূতিটা প্রগাঢ়। তবে মিলনের ভয় তমার বড়লোক বাবা যদি তার মত বেকার দরিদ্র ছেলেকে মেনে না নেয়! একদিন হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তমার চাচাতো ভাই ফারহান। ফারহানকে দেখে তমার বাড়ির সবাই অবাক। ফারহান আসায় তমার বাবা একদিকে যেমন খুশি তেমনি মনে মনে কিছুটা আতঙ্কিত এই ভেবে যে ফারহান হয়ত তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছে। তমার মায়ের মাথায় এক বুদ্ধি আসে। তমাকে ফারহানের সাথে বিয়ে দিতে পারলে সব দিক রক্ষা হয়। তবে তমা এই প্রস্তাবে রাজি না। সে এ মুর্হূতে কি করবে বুঝতে পারে না।
পরিস্থিতি যখন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তখন ফারহানই তার চাচাকে তমার সাথে মিলনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অবশ্য তার আগে সে মিলনের সাথে দেখা করে তারও ভুল ভাঙায়। তাছাড়া ফারহান এতোদিন পর তার গ্রামে আসার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে জানায়: তার ইচ্ছা তার দাদার নামে তাদের গ্রামে একটা কলেজ নির্মান করা। তার আরও ইচ্ছা সেই কলেজে শিক্ষকতা করবে মিলন আর কলেজের তদারকি করবে তার চাচা।
এরকমই একটি গল্প নিয়ে আলোকসজ্জার প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’।
শরিফুজ্জামান সাগরের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাকিল সৈকত। এতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া, সাইফুল ইসলাম,শিল্পী সরকার অপু, আব্দুল্লাহ রানা, শেলী আহসান, মুকুল সিরাজ, অদিতিসহ অনেকে।
সাকিল সৈকত বলেন, রোমান্টিক ধাঁচের গল্প নিয়ে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী বাছাই করেছি। শরিফুজ্জামান সাগর ভাই দুর্দান্ত একটি গল্প লিখেছেন। অভিনয় শিল্পীরাও ভালো অভিনয় করেছে। আশা করছি দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।
মনোজ প্রামাণিক বলেন, ‘টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। যখন গল্পটি আমি পড়ি মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের গতানুগতিক ধারার চেয়ে ভিন্ন কিছু দর্শক উপভোগ করতে পারবে।’
সালহা খানম নাদিয়া বলেন, ‘সাকিল সৈকত ভাই ভালো ডিরেক্টর। অন্যদিকে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। সহশিল্পীরাও খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে অভিনয় করার। বাকিটা টেলিফিল্মটি দেখে দর্শকরাই বলবেন।
আলোকসজ্জার প্রযোজনায় টেলিফিল্মটির সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন দ্বীন ইসলাম সম্রাট, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী তরুন এবং এডিট, কালার ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন রণি শিকদার জিতু।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে।
সারাবাংলা/এজেডএস