Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দশ সেকেন্ডের ইচ্ছা


১৬ মে ২০১৮ ১৪:২৩ | আপডেট: ১৬ মে ২০১৮ ১৬:৪০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

দেশের স্বনামধন্য সংগীত পরিচালক ও গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার দেয়া সুরেই সৃষ্টি হয়েছে ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ গানগুলো।

দেশবরেণ্য এই সংগীতশিল্পী সম্প্রতি তার একটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন ‘অপারেশন এর পূর্বে ১০ সেকেন্ড এর জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশ এর পতাকা এবং কোরঅান শরীফ রাখতে চাই’।

হ্যাঁ, প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পীর অপারেশন প্রয়োজন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার হার্টে ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। বাইপাস সার্জারি ছাড়া তার চিকিৎসা সম্ভব না।

বিজ্ঞাপন

‘ডেডপুল ২’ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে

না, কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু বান্ধবের কাছে সাহায্যের আবেদন করেননি তিনি। বলেছেন, ‘আমার চিকিৎসার জন্য কারো দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট।’ সবার কাছে শুধু দোয়া চেয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

এতসব কথা লেখার আগে আরও কিছু কথা লিখেছেন তিনি। আর সেসব কথা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। তিনি লিখেছেন, ‘সরকারের নির্দেশেই ২০১২ তে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সাথে জানাতে হয়েছে ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর ওই গণহত্যা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। সেদিন একসঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।

কিন্তু, ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেয়ার কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই ‘মিরাজ’ হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনওই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অবর্ননীয় করুণ অধ্যায়। একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ।’

সারাবাংলা/পিএ/পিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর