প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ছবিটি সারাদেরশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর)। অভিজাত সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্সের ৭টি শাখায় ২০টি শো চলছে ছবিটির। তবে দর্শক চাহিদার কারণে শো বাড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সিনেমা হলটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, আমরা আজকে (১৫ অক্টোবর) থেকে ছবিটির একটি শো বাড়াচ্ছি সন্ধ্যার দিকে। মূলত দর্শকদের চাপে ছবিটির শো বাড়াচ্ছি আমরা।
আগামী সপ্তাহে শো বাড়বে কিনা? মেজবাহ বলেন, দর্শকদের চাহিদা থাকলে তো অবশ্যই বাড়াবো। ছবিটি মুক্তির আগে থেকে দর্শকরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কবে মুক্তি পাবে। অভিজ্ঞতা বলছে ছবিটি কমপক্ষে এক-দেড় মাস চলবে।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমাটিতে দেশবিদেশের দুই শতাধিক অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনায় মুক্তি পেয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় জানানো হয়, এটি নির্মাণ করবেন বলিউডের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর চিত্রনাট্যকার হিসেবে যুক্ত হন বলিউডের অতুল তিওয়ারি।
ঘোষণার সময়ই নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, এই সিনেমার বেশিরভাগ শিল্পী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস ধরে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় শিল্পী। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য ১৫ জন শিল্পীর অডিশন নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচবার অডিশন শেষে আরিফিন শুভকে চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে দুবার অডিশন দিয়েছিলেন ভারতে, তিনবার বাংলাদেশে।
২০২১ সালে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর শুটিং শুরু হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। কৈশোরের খোকা (বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ডাক নাম) হয়েছেন দিব্য জ্যোতি। আর তরুণ মুজিব থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যে চরিত্র সেটি করেছেন আরিফিন শুভ।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনজন। ১৩ বছরের আগ পর্যন্ত পর্দায় তার চরিত্রে দেখা যাবে একজন শিশুশিল্পীকে। কিশোরী বয়সী (১৩-১৭ বছর) চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এরপর থেকে নুসরাত ইমরোজ তিশা।