ভারতে রেকর্ড ৫০৩ হলে ৬৮২ শো মুজিবের
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২১
বাংলাদেশের পর ভারতের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) থেকে ভারতের ১২টি অঞ্চলের ৫০৩টি সিনেমা হলে ৬৮২টি শো চলছে। এর আগে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার কোনো ছবি ভারতের এতগুলো সিনেমা হলে মুক্তি পায়নি। এটি বাংলাদেশি কোনো ছবির জন্য রেকর্ড।
বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া ভারতের যেসকল অঞ্চলে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে তার তালিকা দিয়েছেন─ মুম্বাই, দিল্লী/ইউপি, ই. পাঞ্জাব, রাজস্তান, সিপি, সিআই, এপি/নিজাম, এপি/নিজাম, পশ্চিম বাংলা, বিহার, আসাম, ওড়িশা, মাইশোর। এগুলোর সবচেয়ে বেশি সিনেমা হল পেয়েছে মুম্বাইয়ে ১৩০, দিল্লীতে ৭৫ এবং পশ্চিম বাংলায় ১০০টি।
ভারতে মুক্তির মাধ্যমে ছবিটির বিশ্বযাত্রা শুরু বলে জানা গেছে। ভারতে ছবিটি হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজিতে মুক্তি পাবে। এর আগে বাংলাদেশে ১৩ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পায় ১৫৩টি সিনেমা হলে।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমাটিতে দেশবিদেশের দুই শতাধিক অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় জানানো হয়, এটি নির্মাণ করবেন বলিউডের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর চিত্রনাট্যকার হিসেবে যুক্ত হন বলিউডের অতুল তিওয়ারি।
ঘোষণার সময়ই নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, এই সিনেমার বেশিরভাগ শিল্পী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস ধরে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় শিল্পী। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য ১৫ জন শিল্পীর অডিশন নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচবার অডিশন শেষে আরিফিন শুভকে চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে দুবার অডিশন দিয়েছিলেন ভারতে, তিনবার বাংলাদেশে।
২০২১ সালে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর শুটিং শুরু হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। কৈশোরের খোকা (বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ডাক নাম) হয়েছেন দিব্য জ্যোতি। আর তরুণ মুজিব থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যে চরিত্র সেটি করেছেন আরিফিন শুভ।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনজন। ১৩ বছরের আগ পর্যন্ত পর্দায় তার চরিত্রে দেখা যাবে একজন শিশুশিল্পীকে। কিশোরী বয়সী (১৩-১৭ বছর) চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এরপর থেকে নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সারাবাংলা/এজেডএস