এফডিসিতে রিয়েলিটি শোয়ের অনুমতি নিয়ে পিকনিক, জানে না কর্তৃপক্ষ!
১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:২০
দেশের বহু চলচ্চিত্রপ্রেমীর স্বপ্নের জায়গা এফডিসি। স্বপ্নের তারকাকে এক নজর দেখার জন্য, শুটিং দেখার জন্য অনেক তরুণ দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও এফডিসির গেট পার হতে পারে না। এদের কেউ হয়তো দারোয়ানদের দুই-চার-পাঁচশ টাকা ঘুষ দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু চার হাজার মানুষ কোনো প্রকাশ ঘুষ, লবিং ছাড়া এফডিসি চত্বর ঘুরে বেরিয়েছেন, ছবি তুলেছেন, পিকনিক করে গেছেন। অথচ এফডিসি কর্তৃপক্ষ কিছুই বলেনি। অবিশ্বাস্যও হলেও ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এফডিসিতে।
নিরাপত্তাকে ‘তোয়াক্কা’ না করে সেখানে আয়োজন করা হয় প্রায় ৪ হাজার মানুষের পিকনিক। যা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৮-৯টায়। সারাদিন পিকনিকে আসা লোকজন বিএফডিসির অফিসের পাশে যে যার মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাদ যায়নি জহির রায়হান কালার ল্যাব, শুটিং ফ্লোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোও।
তবে মজার বিষয়, দিনভর এত কিছুর পরও এফডিসি প্রশাসন কিছুই জানে না। তাহলে কীভাবে হলো এই আয়োজন? উত্তর মিলছে না।
জানা যায়, এটির আয়োজন করে এসএসসি ৯৩ সালের ব্যাচ (স্বপ্নের ৯৩)। দিনভর অনুষ্ঠানে ছিল খেলাধুলা, আড্ডা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। সরজমিনে দেখা যায়, এফডিসির মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি মোড়েই নানা ধরনের ব্যানার ও ফেস্টুন।
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় এফডিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ফোনে পাওয়া যায়নি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনকে।
প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং ফ্লোর ও সেট ইনচার্জ হিমাদ্রি বড়ুয়ার বলেন, ‘গতকাল আমার ডে অফ ছিল। আজও তাই। এ কারণে গতকাল কী ঘটেছে তা আমি জানি না।’
এফডিসির অতিরিক্ত পরিচালক (বিক্রয়) মো. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি বিজ্ঞাপনি সংস্থার নামে আমাদের কাছ থেকে রিয়ালিটি শোয়ের নামে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অফিস বন্ধ থাকায় আমাদের নজরে বিষয়টি আসেনি। আমরা বিষয়টি জেনেছি। রোববার আমরা অফিসিয়ালি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই আয়োজনের জন্য এফডিসির দুটি ফ্লোর ও মিলনায়তন ভাড়া নেওয়া হয়। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু খোলা প্রাঙ্গণ। সরকারি স্থানে করা এ আয়োজনটির নেতৃত্ব দেন পরিচালক সমিতির সদস্য বিপ্লব শরীফ।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই তিনি রান্নার আয়োজন ও এফডিসিতে সামিনা টাঙিয়ে খাবার স্থান তৈরি করেন। রাত অবধি সাজানো হয় পুরো এফডিসি। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিরাপদ এ স্থানে চলে অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথিদের মহাযজ্ঞ।
সারাবাংলা/এজেডএস