এবার পাঁচ শতাধিক বাঙালি ধিক্কার জানালো এ আর রহমানকে
১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৫
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি নতুন করে সুরারোপ করেছেন এ আর রহমান। অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া ‘পিপ্পা’ ওয়েব ফিল্মে ব্যবহৃত গানটি ইউটিউবে মুক্তির পর থেকে অস্কার বিজয়ী এ ভারতীয় সুরকার সমালোচনার মুখে পরেছেন। একের পর এক নজরুলপ্রেমীরা তাকে ধুয়ে দিচ্ছেন। এবার তাকে ধিক্কার জানালেন পাঁচ শতাধিক বাঙালি।
পশ্চিমবাংলার ‘ইওর ভয়েস ট্রাস্ট’ এর পক্ষ থেকে ৫ শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাঙালির মতামত পাঠানো হয়েছে এ আর রহমানের বাড়ির ঠিকানায়। যেখানে মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাঙালি সহ দেশ বিদেশে বাস করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরাও।
ইওর ভয়েস ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে রহমানকে দেয়া ধিক্কারপত্রটি নিয়ে জানানো হয়, কবি নজরুলকে তীব্র অপমানের বিরুদ্ধে দুই বাংলার এই প্রতিবাদ পত্রটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে।
‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং দুই বাংলা সহ গোটা বিশ্বের ২৮ কোটি বাঙালির আবেগ, জাতীয় চেতনা ও সাংস্কৃতিক বোধে তীব্র আঘাত করেছে বলেও জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
রহমানকে লেখা ধিক্কারপত্রে পরিষ্কার করে লেখা হয়েছে, “আমরা অনুরোধ করছি একজন শিল্পী হিসেবে আপনি বাঙালি জাতির এই আত্মাভিমানকে মর্যাদা দিয়ে গানটি প্রত্যাহার করবেন।
‘ইওর ভয়েস ট্রাস্ট’ এর তরফে দুই বাংলার মোট ৫০০ জনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাঙালির মতামত এদিন এ আর রহমান এর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য, আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা, এবং আইনজীবী অরুণাংশ চক্রবর্তী ইয়োর ভয়েস ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ পত্রের প্রস্তাবক।
রহমানকে লেখা ধিক্কারপত্রের প্রেক্ষাপট নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আরো জানানো হয়, যেভাবে এ আর রহমান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিকে তার নতুন ছবি ‘পিপ্পা’তে ব্যবহৃত হয়েছে, তা এক প্রকার গানটির আত্মাকে খুন করেছে। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাক্কালে গঠিত হওয়া গানটির আত্মাকে এ আর রহমান খুন করেছেন। অন্য কোন গান হলে হয়তো এত প্রতিবাদ উঠত না। কিন্তু এই গানটির সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন, চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস অনেকের নাম জড়িয়ে রয়েছে এই গানটির সঙ্গে। ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটির আত্মাকে খুন করে এ আর রহমান একদিকে যেরকম বাঙালিকে অপমান করেছেন অন্যদিকে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকেও ইচ্ছাকৃতভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন।”
সারাবাংলা/এজেডএস