তিশা-ফারুকী অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ মুক্তি আগামীকাল
২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১৭
‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা। ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়- এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে। আর যে কোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি আমার জন্য অনেক স্পেশাল।’–কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘মনোগামী’।
৩০ নভেম্বর রাত ৮টায় মুক্তি পাবে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এর প্রথম সিনেমা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। তিশা কথাতেই উঠে এসেছে সিনেমাটিতে অনেকগুলো প্রথমের সমন্বয় ঘটেছে।
তিশা আরও বলেন, ‘এই সিনেমা নিয়ে যদি আরও কিছু বলতে হয় তাহলে আমি ছোট্ট করে বলবো এই সিনেমাটা হচ্ছে সকল সন্তানের প্রতি তার মা বাবার অনুভূতির উপহার।’
পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বেশ ফুরফুরে মেজাজের একজন। তবে সিনেমায় প্রথমাবার অভিনয় নিয়ে আছেন মিশ্র মনোভাবে। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবি নাই অভিনয় করবো। সেটাও করা হয়ে গেলো। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাবতো আছেই। একই সাথে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন ছেঁনে গল্প বের করার মধ্যে একটা ভালনারেবিলিটি আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাইতো শিল্পীর কাজ।’
ফারুকী আরও বলেনে, ‘নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা মা হিসাবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এই ছবিটা যদি তাদের সেই সব অনুভুতির কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই আমরা খুশি হবো।’
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ প্রজেক্টটা আমরা যখন ঘোষণা করি তখন দর্শকের জন্য এটা অনেক বড় প্রতিশ্রুতি ছিল। সেখান থেকেই প্রথম ছবির প্রতি দর্শকের প্রত্যাশা যেমন বেশি একই সাথে আমাদের আয়োজনও বেশ বড়। এখন সিনেমা মুক্তির পর দর্শক বিবেচনা করবে সব। তবে আমি করি, এই যে সব প্রথমের সম্মিলন হয়েছে এই সিনেমায় সেটা দর্শকের জন্য চমকপ্রদ হবে।’
রেদওয়ান রনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এই সিনেমার প্রযোজনা করাটা ছিল খুব আবেগের। কেননা আমার জীবনের প্রথম নির্মাণের প্রযোজক ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এখন তার সিনেমা আমি প্রযোজনা করছি সেটা আমার জন্য খুবই ইমোশনের।’
ফারুকী ভাইয়ের দুটি সিনেমারই গল্প-প্লট একদম ভিন্ন। অটোবায়োগ্রফি অন্য সব সিনেমা থেকে খুব স্পেশাল। কেননা, এই সিনেমায় ফারুকী ভাই প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন। তাকে স্ক্রিনে দেখার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে আছি। এখন অপেক্ষা দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখার।‘
‘অটোবায়োগ্রাফি’-এর সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনার কাজটি সুনিপুণভাবে করেছেন মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন পাভেন আরিন। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী।
সিনেমার শিল্পীদের ক্যামেরায় অনন্য ও বাস্তবরূপে করে তুলেছিলেন দুই নারী। তারা হলেন-মেকআপ-এর আতিয়া রহমান ও কস্টিউম ইদিলা ফরিদ তুরিন।
ফারুকী ও তিশার সাথে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরও অনেকে।
অভিনেত্রী তিথি আর তার ফিল্মমেকার স্বামী ফারহানের পক্ষ থেকে তাদের সদ্যজাত কন্যার উদ্দেশে লেখা লাভ লেটার ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। বাইরে থেকে দেখলে এটা সন্তানের দুনিয়াতে আগমন পর্যন্ত এক প্রকার দিনলিপি হলেও, ভেতরে লুকিয়ে আছে ব্যক্তি থেকে সমাজ হয়ে রাষ্ট্রের নানা চেহারা। ৮২ মিনিটের ‘অটোবায়োগ্রাফি’-তে ফারুকী এইভাবেই গল্পের ফাঁদ এঁটেছেন।
সারাবাংলা/এজেডএস
নুসরাত ইমরোজ তিশা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি