বিজয় দিবসে বিশেষ নাটক ‘কৃষ্ণপক্ষের রাত ছিল’
১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৩
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নাটক ‘কৃষ্ণপক্ষের রাত ছিল’। ফারিয়া হোসেনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আরিফ খান। অভিনয় করেছেন- অলঙ্কার চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, ডলি জহুর, নরেশ ভুঁইয়া, রাকিব হাসান বাপ্পী প্রমূখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, হঠাৎ করেই পূর্ণিমার আকাশ কেমন কালো হয়ে উঠছে। কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয়েছে। রূপা জানতে চায় ওর মায়ের কাছে, কৃষ্ণপক্ষ কি? মা বলেন, পূর্ণিমা রাতের ঝলমলে আলোকে গ্রাস করে কৃষ্ণপক্ষ তাকে অমাবস্যায় পরিণত করে। কেউ কৃষ্ণপক্ষকে চায় না। সেদিনের রাতটাও অন্ধকার ছিল…
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস। শহরতলীর একটি বাড়ি। বাবা, মা, রূপার। এ বাড়ির ছেলে রাশেদ যুদ্ধে গেছে, আরও একজন গেছে, যা আর কেউ জানে না। রাশেদের বন্ধু সজল, যার সাথে রূপার ভালোবাসা, সজল রূপাকে কথা দিয়েছে দেশকে স্বাধীন করে ফিরে আসবে, তারপর ওরা ঘর বাঁধবে।
আজকের রাতটা অন্যরকম কারণ ছেলে রাশেদ ওদের দশ বারো জনের সদস্যের মুক্তিবাহিনী নিয়ে আশেপাশেই কোথাও অবস্থান নিয়েছে, দু’এক দিনের মধ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন হবে। রাশেদ মার কাছে চিঠি লিখেছে, অনেকদিন মার হাতের রান্না খায় না। টিফিন বক্সে খাবার ভরাও হয়ে গেছে। এ সময় দরজায় কড়া, মা ভাবে খাবার নিতে এসেছে। কিন্তু আসে কালু মিজান। ঐ এলাকার ছেলে, যে যুদ্ধের সুযোগে দালাল হয়ে গেছে, পাকিস্তানীদের। বহুদিন থেকে মিজানের চোখ ছিল রূপার ওপর। এই সুযোগে সে টোপ ফেলে। মিজান বোঝায় রাশেদদের পেলে সাথে সাথে হত্যা করা হবে। মেয়ে তো জানে বেঁচে থাকবে। বাবা দ্বিধায় পড়েন। মাকে যেয়ে এ কথা বলেন, কিন্তু মা কোনভাবেই মেয়েকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিবে না। এই সুযোগে মা রূপাকে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দেয়। রূপা পালায়, কিন্তু বোঝে ও নিজের বাবা-মা শুধু না ভাই, সজন সবাইকে মৃত্যুর মুখে ফেলে এসেছে। রূপা ফিরে আসে।
‘কৃষ্ণপক্ষের রাত ছিল’ প্রচারিত হবে ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ৯.৩০ মিনিটে এনটিভিতে।
সারাবাংলা/এএসজি