একসঙ্গে নতুন দুই ধারাবাহিক
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২২
বেসরকারি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনে একসঙ্গে দুটি ধারাবাহিক ১৭ ডিসেম্বর থেকে। ইদ্রিস হায়দারের রচনা ও পরিচালনায় ‘উড়ালপঙ্খী’ প্রচারিত হবে প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায়। এতে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, ইমতু, শশী, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, শম্পা রেজা, মুকিত জাকারিয়া, শামীমা তুষ্টি, মনিরা মিঠু, কচি খন্দকার, অনন্ত হীরা, মাসুম বাশার, সঞ্চিতা দত্ত, শেখ স্বপ্না প্রমুখ। অন্যদিকে, আওরঙ্গজেবের রচনা ও তুহিন হোসেনের পরিচালনায় ‘ক্যাম্পাস’ প্রচারিত হবে প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। এতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, অর্ষা, চাষী আলম, পাভেল, মিহি আহসান, এমিলা হক, সুষমা সরকার, মাহা, তামিম খন্দকার, ফরহাদ বাবু, শিবলি নোমান, তানজিম হাসান অনিক, আহসান হাবিব নাসিম, এমিলা হক, সুজাত শিমুল, সালমান আরাফাত, বাধন খান, শেলী আহসান প্রমুখ।
‘উড়ালপঙ্খী’র গল্পে দেখা যাবে, বড় বাড়ির বড় কত্রী আফসানা বিবি এবং তার দুই ছেলে। বড় ছেলে মনসুর মিয়া ও ছোট ছেলে মজনু মিয়া। মজনু গ্রামের সাধারণ পরিবারের মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করে ঘরে তুললে মা আফসানা বিবি মেয়েটিকে অপমান করে বের করে দেয়। মজনু বাঈজিদের সাথে মিশে সারাক্ষণ নাচ গান নিয়ে মেতে থাকে। জেলে কামলাদের সাথে তাস খেলে। মাঝে মাঝে কানাকাজিমও তার সাথে যোগ দেয়। কানাকাজিম ও নাজিম দুই ভাই। কানাকাজিম চোখে দেখেও না দেখার ভান করে। গ্রামের সবাই জানে সে অন্ধ। কাজিমের স্ত্রী অনেক সুন্দরী ও ঝগড়াটে মহিলা। তার ভাই নাজিম বিদেশ থেকে ফিরে এসে টাকা পয়সার সব হিসাব নেয় কাজিমের নিকট থেকে। এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া হয়। নাজিম যখন ভাবি ও ভাই কাজিমকে নিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে, তখন কাজিম যে অন্ধ নয় সেটা নাজিমের চোখে ধরা পড়ে যায়। এরপর আরও অনেক ঘটনা।
‘ক্যাম্পাস’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে আমাদের দেশের বিভাগীয় শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে। শবনম অনার্স শেষ করেছে, মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়নি। কারণ সে ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে চায় না। ক্যাম্পাসজুড়ে শবনমের একটা জনপ্রিয়তা আছে। চলাফেরায় বেশ ড্যাম কেয়ার ভাব তার। মটর সাইকেল চালিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। তার পেছনে আরও চারটা বাইক থাকে। চার বাইকের আটজন শবনমের একনিষ্ঠ ভক্ত। সে ক্যাম্পাসে আসলেই এক ধরণের আলোড়ন তৈরি হয়। এসব কারণে একটা শ্রেনী যেমন তার অনেক অনুসারী আছে তেমনি শত্র“ও আছে। শত্র“দের মধ্যে অন্যতম হলো জিসান ও তার দল। জিসান স্থানীয় কাউন্সিলরের ছেলে। ক্যাম্পাসে তাকে সবাই খারাপ ছেলে হিসেবেই জানে। অন্যদিকে রাতুল, সোহান, রূপক ও শ্রাবণ ভালো বন্ধু হলেও তাদের চিন্তায় এবং স্বভাবে ভিন্নতা রয়েছে। রাতুল তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। প্লেবয় হিসেবেই তাকে চেনে সবাই। সুন্দরী মেয়েদের পটানো এবং তাদের সঙ্গে ডেট করায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী সে। রাতুলের এক্স গার্লফ্রেন্ডরা ক্যাম্পাসে আসা নতুন মেয়েদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়-রাতুল হইতে সাবধান। কিন্তু রাতুলের অভিনব সব কৌশলের কাছে সবাই হার মানে। সোহান শাহরুখ খানের ফ্যান। তার চলনে বলনে শাহরুখ খানের ছাপ। ডিপার্টমেন্টের এক ম্যাডামের প্রেমে দিওয়ানা সে। রূপক সবসময় পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস। পছন্দ করে প্রিয়াংকাকে। কিন্তু প্রিয়াংকার স্বভাব চরিত্র পুরো তার বিপরীত। প্রিয়াংকা ব্যস্ত থাকে টিকটক নিয়ে। নিজেকে সেলিব্রেটি ভাবে। শ্রাবণ ও তানিয়ার প্রেম ক্যাম্পাসের সবচেয়ে আলোচিত প্রেমের মধ্যে একটি। হাসি, আড্ডা, প্রেম, ভালোবাসা, ঝগড়া এসব নিয়েই কেটে যাচ্ছিল তাদের ক্যাম্পাস জীবন। এরমধ্যে ক্যাম্পাসে নতুন আগমন ঘটে সেজুতির। শুরু হয় নতুন গল্প।
সারাবাংলা/এজেডএস