মিশুক মুনীরের ব্যবহৃত ক্যামেরা ফিল্ম আর্কাইভে হস্তান্তর
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫১
সাংবাদিক ও সিনেমাটোগ্রাফারের মিশুক মুনীরের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যাদি ও দলিল বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে জমা দেওয়া হয়েছে। সোমবার তার স্ত্রী মঞ্জুলী মুনীর তার সংগ্রহে থাকা জিনিসপত্র আর্কাইভের মহাপরিচালকের কাছে প্রদান করেন।
তিনি মিশুক মুনীরের ব্যবহৃত ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের লেন্স, ফ্ল্যাশগান, অ্যাকসোরিজ, ওহম মিটার, স্লাইড, ফটো অ্যালবাম, ক্যামেরার ম্যাগনেটিক, মিনি ক্যামেরা, ছোট ব্যাটারি চালিত লাইট, পার্সপোর্ট, আইডি কার্ড, দূর্লভ পকেট ঘড়ি, হাত ঘড়ি, নেগেটিভ রাখার কাঁচের জার ইত্যাদি আর্কাইভের ফিল্ম মিউজিয়ামের জন্য দান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফারহানা রহমান, উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক, ফিল্ম অফিসার মো. ফখরুল আলম সোহাগ ও ফিল্ম ইনভেস্টিগেটর আবুল কাউসার মো. আল আমিন।
মিশুক মুনীর ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনীর চৌধুরীর ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে টেলেস্টোরিয়াল ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে বিদেশেও সাংবাদিক, সম্প্রচার প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ২০০৭ সালে কানাডিয়ান সাংবাদিক পল জোয়ের সাথে প্রতিষ্ঠা করেন আন্তর্জাতিক সংবাদ টেলিভিশন রিয়েল নিউজ নেটওয়ার্ক। কানাডার টরেন্টোর ব্রেকথ্রো ফিল্মস, জে ফিল্মস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে ফিল্যান্স ভিডিওগ্রাহক ও প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়াও তিনি কাজ করেন বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবে। নির্মাণ করেন বিভিন্ন ধরনের প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রির্টান টু কান্দাহার, রানওয়ে, মাটির ময়না, মুক্তির গান উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অন্যন্ত এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
বাংলাদেশের এই অনন্য প্রতিভা তারেক মাসুদের পরিচালনায় নতুন ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শুটিং লোকেশন দেখতে গিয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
সারাবাংলা/এজেডএস