Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে টাইটানিক এসেছিলো যেভাবে


১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:৪৫ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:১৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টাফ করেসপনডেন্ট

মুক্তির ২০ বছর পূর্ণ করলো জেমস ক্যামেরনের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘টাইটানিক’। এ ছবির শ্রেণীদ্বন্দ্ব, বিষন্নতা, প্রেম, বিসর্জন এখনও ভোগায় দর্শককে। ১৯৯৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছুতে বেশি সময় লাগেনি ‘টাইটানিক’-এর।

ওই সময় ছবিটি এ দেশে এনেছিলেন মধুমিতা সিনেমা হলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। ২০ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে স্মৃতিভারাক্রান্ত নওশাদও। সারাবাংলার মুখোমুখি বসে তিনি ফিরে গেলেন পুরনো স্মৃতিতে। তুলে আনলেন ‘টাইটানিক’-এ মুগ্ধ সেই সময়ের বাংলাদেশের গল্প-

বিজ্ঞাপন

‘ফক্স স্টুডিওর সাউথইস্ট এশিয়ার ইনচার্জ যিনি ছিলেন মাইকেল ওয়ার্নার, ও আমার ব্যক্তিগত বন্ধু হয়ে গিয়েছিলো। মাইকেল ওয়ার্নার যখন ছোট একটা কম্পানিতে কাজ করতো, তখন থেকে তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। হলিউডের ছবি আনতে লস অ্যাঞ্জেলসে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো আমার।  মাঝে অনেকদিন তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো না। তাকে খুঁজছিলাম। লন্ডনে এক কম্পানিকে জিজ্ঞেস করলাম, হোয়্যার অ্যাবাউট মাইকেল ওয়ার্নার? ওখান থেকে আমাকে জানালো, সে ফক্সে জয়েন করেছে। শুনে তো খুশি হয়ে গেলাম।
তাদের কাছ থেকে ওয়ার্নারের ফোন নম্বর নিলাম। আশির দশকে টেলেক্স ছিলো, আর টেলিফোনে কথা বলতে হতো। তখনও ফ্যাক্স আসেনি। ওয়ার্নারের সাথে আবার যোগাযোগ হলো। কমান্ডো ছবিটা নিয়ে এলাম। এরপর টাইটানিক রিলিজ করলো।
ছবিটা আনার খুব আগ্রহ হলো আমার। ওয়ার্নারকে ফোন করলাম। সে প্রথমে সে আমাকে পাঁচটা প্রিন্ট দিতে রাজি হলো। সেটা নিয়েই খুশি ছিলাম। বেশ কিছু কোম্পানিকে পেলাম, যারা স্পন্সর করতে আগ্রহী হলো।
টাইটানিকের ব্যবসা নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিলো, সত্যিকার অর্থে প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো ছবিটি। যে সব হলে ইংরেজি ছবি চলতো না, টাইটানিক ওইসব হলেও চলেছে। যে কোনো ইংরেজি ছবি ওই সময় পাঁচ হাজার দশ হাজার রেন্টালে চলতো। কিন্তু টাইটানিকের রেন্টাল ছিলো এক লাখ। সারা বাংলাদেশে ছবিটা চলেছে। মধুমিতা হলে চলেছে টানা ২৮ সপ্তাহ। যা মধুমিতা সিনেমা হলের রেকর্ড।’

সারাবাংলা/কেবিএন/পিএ

টাইটানিক নওশাদ মধুমিতা