শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর: শুরু বছরব্যাপী উদযাপন
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৮ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩০
বাঙালি সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও বিশ্বময় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষন ও প্রসারের মাধ্যমে সকল মানুষের জন্য শিল্প সংস্কৃতির প্রবাহ তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অভিলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ৫০ বছর পূর্তি ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে বছরব্যাপী এই উদযাপন। শুরুতেই আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শাখা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও হবে। জেলা উপজেলা ছাড়িয়ে দেশের বাহিরেও হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল সেন্টার।’
তিনি আরো বলেন ‘সংস্কৃতিবান না হলে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না, যারা নিয়মিত সংস্কৃতির চর্চা করে অনুশীলনের মধ্যে থাকে তারা অন্য সবার থেকে চিন্তা চেতনায় এগিয়ে থাকে।’
এর আগে স্বাগত বক্তব্য প্রদান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। ৫০ বছরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নানামুখী কার্যক্রম এবং জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চায় একাডেমির ভুমিকা তুলে ধরেন তিনি। পরে সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
তিনি বলেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি না হলে এই একাডেমিও তৈরী হতো না। এই একাডেমির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন সেদিনই আমরা আরো বড় পরিসরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা বাংলাদেশ জুড়ে আয়োজন এবং উদযাপন করবো।’
তিনি আরো বলেন ‘আগামী একবছর আমরা তৃণমুল পর্যায়ে উপজেলা- ইউনিয়নকে বেশি প্রাধান্য দেবো। আমাদের ডাটাবেজে আমরা সারাদেশের সকল শিল্পীকে সেখানে সংযুক্ত করব আমি বিশ্বাস করি লক্ষাধিক শিল্পী সেখানে যুক্ত হবে এবং এটি হবে অন্যতম প্লাটফর্ম।’
মহাপরিচালক আরও জানান ‘আমরা আর্ট মার্কেট শুরু করছি। শিল্পীদের নানা অনুষঙ্গ, শিল্পকর্ম এতে বিক্রি হবে, আমরা বাজারটি তৈরি করার মধ্য দিয়ে পেশাবৃত্তিক শিল্পচর্চায় শিল্পীদের নিযুক্ত করতে চাই। আমরা আর্ট মার্কেটের এই ধারা অব্যাহত রাখবো, আমরা প্রতি ৩ মাস পরপর এই আর্ট মার্কেট আয়োজন করবো।’
এরপর পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বছরব্যাপী আয়োজনের ১ম দিনে শুরুতেই সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে একাডেমির শিশু-কিশোর সঙ্গীত দল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে ‘বীরপুরুষ’ পরিবেশন করে শিশু নৃত্য দল এবং ‘এসো শ্যামলো সুন্দর’ পরিবেশন করে একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ধামাইল নৃত্য, বাউল গান, শিশু কন্ঠশিল্পীদের অভিভাবকদের অংশগ্রহণে দলীয় পরিবেশনা ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ সমবেত নৃত্য ‘আজ যত যুদ্ধবাজ’, ‘বিপুল তরঙ্গ রে,’ ‘চলো বাংলাদেশ’ এবং সমবেত সঙ্গীত ‘মঙ্গল হোক এই শতকে মঙ্গল সবার’।
সারাবাংলা/এএসজি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর: শুরু হলো বছরব্যাপী উদযাপন