নূতন-রতনে, বসনে-ভূষণে প্রকৃতি সেজে উঠেছে এই বসন্তবেলায়। এই নগরে বসন্ত এলে তার আবেদন ছুঁয়ে যায় প্রাত্যহিক জীবনেও; নগরকাব্যে লেখা হয় নতুন গল্প। ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্যকলায়ও এই বসন্ত নিয়েছে বিশেষ আসন। মণিপুরী-ওড়িশি-কথক-ভরতনাট্যমে কিংবদন্তি নৃত্যগুরুরা রচনা করেছেন ‘বসন্ত বিহার’।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্রের আয়োজনে চার জন শাস্ত্রীয় নৃত্যগুরুর পরিবেশনায় চিত্রায়িত হলো ঋতুরাজ বসন্তের স্বরূপ। ‘নৃত্যসুধা’ শিরোনামের এই পরিবেশনায় অংশ নেন তামান্না রহমান, প্রমা অবন্তী, বেলায়েত হোসেন খান ও মুনমুন আহমেদ। তাদের সঙ্গে সম্মেলক পরিবেশনায় অংশ নেয় তাদের শিষ্যরাও।
এই আয়োজনে ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন প্রমা অবন্তী ও তার নৃত্য সংগঠন ‘ওড়িশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার’র শিষ্যরা। এদিন তারা তিনটি নৃত্য প্রযোজনা মঞ্চস্থ করেন। প্রথমে একোতালি আর রাগ বসন্তের সরগমকে ভিত্তি করে ‘পল্লবী’ – যেখানে তাল, সুর ও ছন্দের বৈচিত্র্যে বর্ণিত হয় মুখরিত জীবনের কথা। এরপর ওড়িশি নৃত্যকলার ‘সাভিনয়’ পর্বে চিত্রিত হয় ‘ঋতুরাজ বসন্ত’। এবং সবশেষে ওড়িশি আঙ্গিকে রবীন্দ্রসংগীত আশ্রিত নৃত্য ‘গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে’ পরিবেশন করেন তারা। প্রমা অবন্তীর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনায় অংশ নেয় তার শিষ্য ময়ূখ সরকার, দিয়া দাশগুপ্তা, অর্জিতা সেন চৌধুরী ও ইশিকা দাশ।
এই নৃত্যের কিছু রঙ্গিন মুহুর্ত সারাবাংলার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আশীষ সেনগুপ্ত’র ক্যামেরায় …
ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত