Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে

আহমেদ জামান শিমুল
১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩১

অন্য সময়ের তুলনায় ঈদ উৎসবে মানুষজন সিনেমা হলে বেশি যায়। যার কারণে পরিচালক-প্রযোজকরা তাদের বড় বাজেটের কিংবা সেরা ছবিগুলো এ উৎসবে মুক্তির চেষ্টা করেন। তাছাড়া এ সময় প্রযোজক সমিতির বেধে দেওয়া সপ্তাহে দুটির বেশি ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না—‘এমন নিয়মও কার্যকর থাকে না। যার কারণে সবাই তার ছবিটি মুক্তির চেষ্টা করে। এতে করে অনেক সময় দর্শকদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয় কোনটি রেখে কোনটি দেখবে।

বিজ্ঞাপন

এবারের ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ১৬টি ছবি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিল। জোরেশোরে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছিল ১৩টি ছবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাচ্ছে ১১টি ছবি। মুক্তির মিছিল থেকে সরে গেছে ‘ডেডবডি’ ও ‘পটু’র মতো ছবিগুলো।

বিজ্ঞাপন

বলা হচ্ছে, এবারের ঈদেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আসলেই কি তাই? ইতিহাস কী বলে।

সারাবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ঈদুল ফিতরে রেকর্ড ১৫টি এবং ঈদুল আযহায় রেকর্ড ১৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। অর্থাৎ এবার সর্বোচ্চ নয়, তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ও প্রযোজক সমিতি তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছে।

মুক্তির মিছিলে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘রাজকুমার’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’, মিশুক মণি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’, গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজলরেখা’, কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ‘লিপস্টিক’, ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা: জ্বিন-২’, জসীম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া: দ্য লাভ’, কাজী হায়াৎ ও রওশানা আরা নীপার যৌথ পরিচালনায় ‘গ্রীণকার্ড’, ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘণাকন্যা’ এবং জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’।

জানা গেছে, এর মধ্যে ‘রাজকুমার’ ১২৭টি, ‘ওমর’ ২২টি, ‘দেয়ালের দেশ’ ১৪টি, ‘মায়া: দ্য লাভ’ ৯টি, ‘গ্রীণকার্ড’ ৫টি, ‘সোনারচর’ ৭টি, ‘কাজলরেখা’ ৯টি, ‘লিপস্টিক’ ৭টি, ‘আহারে জীবন’ ৪টি, ‘মেঘনাকণ্যা’ ১টি এবং ‘মোনা: জ্বিন-২’ ৮টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে।

প্রযোজক সমিতির অফিস কর্মকর্তা সমিন্দ্র সারাবাংলাকে বলেন, ঈদে মুক্তির জন্য সমিতিতে ১২টি ছবি আবেদন করেছিল। শেষ পর্যন্ত ‘পটু’র সরে যাওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

একসঙ্গে এতগুলো ছবি মুক্তির বিষয়টিকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন লায়ন সিনেমাসের কর্ণধার মীর্জা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আমাদের হলে ১১টির মধ্যে ৯টি বাংলা ছবি চালাবো। এগুলো শিডিউল করার আমার উপলব্ধি হলো, আমি কিছু প্রযোজক ভাইদের আত্মহত্যা করতে সাহায্য করলাম।

হল মালিকরা বলছে, ঈদে ঘোষণা দিয়েও না এসে ‘ডেডবডি’ ও ‘পটু’র প্রযোজক বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। তারা পরবর্তীতে সুন্দর সময় দেখে ছবিগুলো মুক্তি দিতে পারবেন। সারা বছর তারা ভালো বাংলা ছবি পান না ঈদ ছাড়া। প্রযোজক-পরিচালকরা শুধু ঈদে ভালো ছবিগুলো মুক্তি দিলে তাদের বিদেশে ছবির উপর পুরোপুরি নির্ভর হতে হবে অথবা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।

সারাবাংলা/এজেডএস

ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে ঈদুল ফিতর ২০২৪

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর