মন্তব্য করতে চান না সোহেল চৌধুরীর মেয়ে
৯ মে ২০২৪ ১৭:৩৪
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে)। মৃত্যুর প্রায় ২৫ বছর পর বিচার পেলো তার পরিবার। কিন্তু মামলার রায় নিয়ে খুব একটা মন্তব্য চাইলেন না তার মেয়ে লামিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে আব্বুর এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি একটি সিনেমা নির্মাণে হাত দিয়েছি। এই মুহূর্তে সেটার কাজে ব্যস্ত আছি। এটা নিয়ে কিছু জানতে চাইলে বলতে পারি।’
লামিয়া আরও বলেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। তারা (অপরাধীরা) যেটা করেছে, সেটার জবাব তাদেরই দিতে হবে। তাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। বাস্তবতা নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাদের বিচারে আমাদের কোনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’
আজমেরী হক বাঁধনের নির্বাহী প্রযোজনায় লামিয়া পরিচালিত ছবিটির নাম ‘মেয়েদের গল্প’। অক্টোবর থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হবে।
রাজধানীর বনানী ট্রাপ ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অতীতের এক ঘটনার জের ধরে তাকে ভাড়াকে খুনি দিয়ে হত্যা করায় আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ও আদনান সিদ্দিকী। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তীর আদালত এই মামলার রায় দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ী ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন জনকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ১ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। সাজাপ্রাপ্ত এসব আসামী রয়েছে পলাতক। মামলার বাকি ৬ আসামি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এ আসামিরা হলেন, এজাহারনামীয় তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
সারাবাংলা/এজেডএস