তাহসানকে নিয়ে গুজব, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রিন্স মাহমুদের
১০ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৭
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১ম হয়েছিলেন। পরবর্তীতে রেজাল্ট বাতিল হলে তিনি ভাইবাতে বাদ পড়েন─গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের তথ্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের মাকে জড়িয়েও তথ্য ছড়াতে শুরু করেছে। ড. জিনাতুন নেসা কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের মা। দাবি করা হচ্ছে, তারই গাড়িচালক ছিলেন আবেদ আলী।
তবে এটি পুরোপুরি মিথ্যে একটি গুজব। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সুরকার ও গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ। তাহসান খানের মা জিনাতুন নেসা প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘তাহসানের আম্মা জিনাতুননেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকাকালে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কি না বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কি না বা জড়িত ছিলেন কি না, সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করব, যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোনো দায় থাকে।’
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পিএসিতে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন আবেদ আলী। ২০১৪ সালের এপ্রিলে সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি চাকরি হারান। ২০১২ সালের শেষ দিকে পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। ওই সময় পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ইকরাম আহমেদ। তিনি ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ই চাকরি থেকে বরখাস্ত হন আবেদ আলী।
সারাবাংলা/এজেডএস