‘কাটপিস’যুক্ত ছবি দেখে বিব্রত সেন্সর বোর্ড
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৮
ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয় ২০০০ সাল পরবর্তী সময়কে। ওই সময়ে অশ্লীল দৃশ্যসমৃদ্ধ ‘কাটপিস’ যুক্ত করে ছবি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হত সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়া। এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে র্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে এ যুগের অবসান হয়। কিন্তু এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সিনেমা হলে লুকিয়ে এসব অশ্লীল ছবি চালানো হয়─এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রায়ই সময় পুলিশ এ ধরণের ছবি সিনেমা হল থেকে জব্ধ করে। কিছুদিন আগে ‘জাঁদরেল’ ও ‘শক্র ঘায়েল’ নামক দুটি ছবি আটক করে পুলিশ। ছবিগুলো পরীক্ষণ-নিরীক্ষণের জন্য দেখেন সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। যা দেখে বিব্রত বোর্ডের সদস্যরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা ছবি দুটি দেখেন। পুলিশের অভিযোগ ছিল, সিনেমায় অশ্লীল কাটপিস দৃশ্য লাগিয়ে সেগুলো হলে চালানো হচ্ছিল। পরে তার সত্যতা পান বোর্ডের সদস্যরা। ফলে বাতিল হয় প্রদর্শনের অনুমতি।
বোর্ডের সদস্য পরিচালক খিজির হায়াত বলেন, ‘এত জঘন্য কাটপিস, যা কোনোভাবেই দেখার মতো নয়। এত অশ্লীলতা, নগ্নতা বাংলা সিনেমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া বাক্রুদ্ধ করেছে। এ ধরনের রুচিহীন কাজ যাঁরা করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা সিনেমা দুটি দেখে আমাদের মতামত জানিয়েছি। এ ধরনের সিনেমা যেন আর কোথাও কোনো সিনেমা হলে না চালানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, এমন মতামত জানিয়েছি।’
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লিখেছেন তিনি। বলেছেন, ‘কাটপিস আমলে সেন্সর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত জব্দ হওয়া একটা সিনেমা সার্টিফিকেশন বোর্ডে আজকে দেখে লজ্জায়, ঘৃনায় বমি চলে আসছে, ছিঃ। এরাই বাংলাদেশী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার অন্যতম কারিগর। যেখানেই কাটপিস সিনেমা চলবে নিকটতম প্রশাসনকে জানানোর জোর দাবি থাকল।’
জানা যায়, ঢাকার বাইরে ‘রুপা’ ও ‘লাবণী’ নামের দুটি সিনেমা হল থেকে এই সিনেমাগুলো জব্দ করা হয়।
এমবি মানিক পরিচালিত ‘জাঁদরেল’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলেকজান্ডার বো, সাহারা, মেহেদী, শিখা, ডন, মিশা সওদাগর। ছবিটি প্রযোজনা করেছে শুভ ইন্টারন্যাশনাল। অন্যদিকে, ‘শুক্র ঘায়েল’ পরিচালনা করেছেন স্বপন চৌধুরী। এর প্রধান চরিত্রে রয়েছেন আলেকজান্ডার বো, মনিকা, শাহীন আলম, মিজু আহমেদ। এটি প্রযোজনা করেছে মো. শফিকুর রহমান।
সারাবাংলা/এজেডএস