Friday 18 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর ছয় বছর

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৩৯

‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে’— রুপালি গিটার ফেলে সত্যি সত্যি আকাশে উড়াল দিয়েছেন সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হঠাৎ তার উড়ে যাওয়া কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। আজ (১৮ অক্টোবর) তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। তার বাবা ইশহাক চোধুরী। মা নুরজাহান বেগম। তার বেড়ে উঠা একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কেউ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এমনকি তার ভাই-বোনদের মধ্যেও কেউ না। কিন্তু বাচ্চু ছোটবেলা থেকেই গিটার বাজানোর নেশায় মাতেন।

বিজ্ঞাপন

যতটা জানা যায়, জিমি হেনড্রিক্সকে দেখার পর গিটারের বিষয়টা প্রথম সংক্রমিত করে আইয়ুব বাচ্চুকে। তার সংগীত জীবন শুরু হয় মূলত ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালে তিনি ব্যান্ড ফিলিংসে যোগ দেন। তার প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী পুরো এক দশকে ব্যান্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। এ নামে অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি ব্যান্ড থাকায় পরে বদল করে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।

বাংলা গানের নতুন ধারার এই অনন্য শিল্পী অনেকগুলো চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেমন: ১৯৯৯ সালে ‘লাল বাদশা’ ও ‘আম্মাজান’, ২০০০ সালে ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’, ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ও ‘রং নাম্বার’, ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মতো বউ’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’, ২০১৩ সালে ‘টেলিভিশন’ এবং ২০১৪ সালে ‘এক কাপ চা’ প্রভৃতি। তার গাওয়া ‘আম্মাজান’ গানটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রোতাপ্রিয় গান।

বিজ্ঞাপন

তার প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে ‘রক্তগোলাপ নামে’। আর এলআরবির প্রথম অ্যালবাম হলো ‘এলআরবি’ (১৯৯২)। এরপর ‘ব্যান্ডের সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারী মন’, ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘মন চাইলে মন পাবে’ (২০০০), ‘অচেনা জীবন’ (২০০৩), ‘মনে আছে নাকি নেই’ (২০০৫), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২) প্রকাশিত হয়।

একক অ্যালবামের মধ্যে রক্তগোলাপের পর রয়েছে ‘ময়না’ (১৯৮৮), ‘কষ্ট’ (১৯৯৫), ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি!’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘প্রেম প্রেমের মতো’ (২০০৩), ‘পথের গান’ (২০০৪), ‘ভাটির টানে মাটির গানে’ (২০০৬), ‘জীবন’ (২০০৬), ‘সাউন্ড অব সাইলেন্স’ (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

তা ছাড়াও অনেক মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড এলআরবি ও ফিলিংস নব্বইয়ের দশকে যৌথভাবে ‘ক্যাপসুল’ ও ‘স্ক্রু ড্রাইভার’ নামে অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয় দুটি অ্যালবাম উপহার দেন।

সারাবাংলা/এজেডএস

আইয়ুব বাচ্চু ছয় বছর মৃত্যুবার্ষিকী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর ছয় বছর
১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৩৯

সম্পর্কিত খবর