চ্যালেঞ্জ নিতে চান রাতাশ্রী
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪০
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে নাম লেখান উত্তর চব্বিশ পরগনার মেয়ে রাতাশ্রী দত্ত। এরপর বেশকিছু কাজে পাওয়া যায় তাকে। বছরের শেষের দিকে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে রাতাশ্রী অভিনীত এক সম্পর্কের গল্প নিয়ে তৈরি পরিচালক-অভিনেত্রী রূপসা গুহের প্রথম সিনেমা ‘হাউ আর ইউ ফিরোজ’। এতে নামভূমিকায় পার্সি যুবক আরিয়ান ভৌমিক অভিনয় করছেন। বিপরীতে রাতাশ্রী দত্ত।
বড় পর্দায় তাকে ‘শর্মিলা ঠাকুর’ হিসেবে চেনে। রাতাশ্রী অতনু বসুর ‘অচেনা উত্তম’-এ শর্মিলা ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। মাঝে সিনেমা থেকে বিরতি। অভিনেত্রী এবার পার্সি মেয়ের চরিত্রে। অভিনেত্রী থেকে সদ্য পরিচালনায় হাতেখড়ি রূপসার। তার প্রথম সিনেমাতে রাতাশ্রী ‘সমীরা’। ইতোমধ্যেই সিনেমাটি বার্লিন, মস্কোসহ সাতটি চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘কয়েকটি ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে। চলতি বছরই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কয়েকটি উৎসবে সিনেমাটি অংশ নিচ্ছে। বাঙালি হয়ে অবাঙালির চরিত্র করাই একটি চ্যালেঞ্জ। তবে চ্যালেঞ্জ যখন আসে তখন নতুন কিছু শেখা হয়। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। তখন ভালো কিছু হয়। ৭০ সালের পার্সির মেয়েদের জীবন-যাপন পুরোপুরিভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ না। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। চরিত্রটি করতে গিয়ে সেই সময়কালীন অনেক কিছু শিখেছি। তবে চরিত্রে প্রবেশে সমস্যা হয়নি। প্রাণবন্ত একটি চরিত্র। কাজটি ভালো হয়েছে। আশা রাখি, দর্শকরাও পছন্দ করবে।’
তার মতে, ‘সমীরা’ রাতাশ্রীর মতোই। ছটফটে, চনমনে, কথা বলতে ভালোবাসে। একই সঙ্গে তিনি পার্সি ভাষা, সেই সমাজের আদবকায়দা জানতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে সিনেমাতে কাজ করতে গিয়ে তিনি আদতে ঋদ্ধই হয়েছেন।
অভিনয়ে বিরতি থাকার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে লম্বা সময় দূরে থাকতে হয়েছিল। তারপর করোনা মহামারি চলে আসে। সবকিছু নতুন করে শুরু হয়। আমি নিজেও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। কাজে ফিরেই বেশকিছু সিরিজে কাজ করি। তবে কাজের গতি কম ছিল।’
কলকাতার ফিল্মি বাজার পাড়ি দিয়ে রাতাশ্রী কাজ করেছেন ঢালিউডও। ঢাকার নির্মাতা মিজানুর রহমান লাবুর ‘তুখোড়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় তার। এরপর আর ঢাকাই সিনেমায় তাকে পাওয়া যায়নি। হাস্যোজ্জ্বল এই অভিনেত্রী বললেন, ‘নায়িকা হিসেবে আমার জীবনের প্রথম কাজ বাংলাদেশে। এ দেশের মানুষের সঙ্গে মানসিকভাবে আমি ভীষণ জড়িত। সেই জায়গা থেকে দুটি ইন্ডাস্ট্রির একটি জায়গায় কোথাও গিয়ে উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। সামনে সিনেমার সুদিন আসছে।’
ঢাকায় কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি ভীষণভাবে ঢাকার কাজের জন্য মুখিয়ে আছি। বর্তমান সিনেমা ও সিরিজ মিলিয়ে অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। নতুন পরিচালকরা দারুণ নির্মাণ করছেন। প্রায়ই ঢাকার কাজ দেখা হয়। ঢাকার তরুণ নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তারা আমাকে দায়িত্ব দিলে মান রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে কাজ করতে চাই।’
উড়িষ্যা, কলকাতা এবং বাংলাদেশ-তিন জায়গাতেই রাতাশ্রীর কাজ করা হয়েছে। তিন জায়গায় কাজের আলাদা পার্থক্য তার চোখে পড়েনি। তার ভাষায়, ‘সব জায়গাই ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি স্মৃতি বাংলাদেশের কাজে। তার কারণ সেখান থেকে প্রথম নায়িকা হওয়া। কাজটি করতে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি এবং শিখেছি। বাংলাদেশ থেকেই আমার হাতেখড়ি। যার ফরে এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, যা আমার গোটা জীবনে কাজে দিবে। এক কথায় আমার সবকিছুর শুরু বাংলাদেশ থেকে। যে কারণে দেশটার সব স্মৃতি মনের একটি কোনায় রাখা। এ কারণে বারবার এখানে ফিরে আসি।’
সারাবাংলা/এজেডএস