এআই ব্যবহার করে পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘বালুঘড়ি’
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৩
চলচ্চিত্র শিক্ষক ও নির্মাতা রাজীবুল হোসেন নির্মাণ করেছিলেন ‘বালুঘড়ি’। যার ইংরেজি নাম ‘দ্য স্যান্ড ক্লক’। দেশে যখন ৩৫ মি.মি. প্রযুক্তির রমরমা অবস্থা তখন এটি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছিল। পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিটি ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবিটি পুনরায় মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ বছর পর ‘বালুঘড়ি’ রিমাস্টারিং করা হচ্ছে এআই প্রযুক্তির সহায়তায়। এতে নতুন রূপে, নতুন রঙে, নতুন শব্দ আয়োজনে দর্শকরা ছবিটি দেখতে হবে। প্রাথমিকভাবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ছবিটির প্রথম গান ‘পদ্মার জলে ভাসাই মন’ গান ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন সবকিছুতেই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এত বছর পর ছবিটি পুনরায় মুক্তি প্রসঙ্গে রাজিবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ছবির গল্পের যে প্রেক্ষাপট তা বর্তমানেও সমসাময়িক। তাই নতুন প্রযূক্তিতে আমরা এটি দর্শকদের আবার দেখানোর ব্যবস্থা করছি।’
পরিচালক জানালেন, অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রুনা খান, ফারহানা মিলি, কায়েস চৌধুরী ও মনোজ প্রামাণিক এদের প্রত্যেকেরই অভিনীত প্রথম ছবি এটি। এরা ছাড়াও ছবিটিতে আছেন রশিদ হারুন, ওয়াহিদা মল্লিক।
‘বালুঘড়ি’ একটি অ্যান্টি-ন্যারেটিভ চলচ্চিত্র যা অধ্যাপক কুহেল আহমেদের মনস্তাত্ত্বিক ভ্রমণকে নিয়ে নির্মিত। যিনি সময়, উপলব্ধি এবং স্মৃতির এক অনন্ত চক্রে বাস করছেন। প্রাণিবিদ্যার এই অধ্যাপক নিজেরই সৃষ্ট এক ঘোরে বন্দি হয়ে যান। যেখানে চরিত্র, স্থান ও ঘটনা মিশে গিয়ে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সীমানা বিলীন হয়ে যায়। এটি কোনো মায়া নয় বরং এক গভীর ঘোরের অনুভূতি — একটি আধ্যাত্মিক জগতের প্রবেশ যেখানে দৃশ্য শব্দের চলনে দর্শকের কাছে তার নিজস্ব এক গল্প হয়ে জন্ম নেয়। যা এ অঞ্চলের বাউলদের অভিজ্ঞতার মতো।
ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন হাবিব জাকারিয়া। পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রগ্রহণে ছিলেন রাজীবুল হোসেন। সম্পাদনায় ছিলেন রিয়েল আকঞ্জি। পোস্টার ডিজাইন করেছেন রনি আহমেদ। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ইমেজ ইনহ্যান্স, অডিও, কালার ও মিউজিক (রিমাস্টার) করেছেন রাজীবুল হোসেন। শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন আশরাফ চঞ্চল। প্রধান সহকারী পরিচালক রেজা শাহরিয়ার। অন্য সহকারী পরিচালকরা হলেন সাঈদ রিংকু, আশিক কাঞ্চন, নোমানী আল হাসিব। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন পল গোমাগে, রাজকুমার।
রাজীবুল হোসেন ছিলেন নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে। ৯০ মিনিটের ছবিটি নির্মিত হয়েছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (এআইএমসি) ব্যানারে। ছবির ব্যাপ্তীকাল ৯৩ মিনিট।
সারাবাংলা/এজেডএস