‘যাদের মা নেই, তারাই আমার যন্ত্রণা বুঝবে’
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৮
মা নন্দিতা সেনগুপ্তকে হারালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শনিবার (২৪ নভেম্বর) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ৭৭ বছর বয়সি নন্দিতা অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে ঋতুপর্ণা জানান, লাগাতার ডায়ালিসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার মাকে। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন পনেরো আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আশা ছিল, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। তা আর হল না।
মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘মা সেই চলেই গেল, আটকাতে পারলাম না। সব কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার কথা তো সকলে জানে। নন্দিতা সেনগুপ্তর মেয়েকে কতজনইবা জানত!’
মায়ের প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে। মা-বাবার তো কোন বিকল্প হয় না! এখনও মা আমাকে শাসন করত, বকাবকি করত। বকা দিয়ে মায়ের ফোনটা আর আসবে না। যাদের মা নেই, তারা আমার যন্ত্রণাটা বুঝবে। শুধু বলব, যাদের মা আছে, তারা আগলে রেখো।’
ঋতুপর্ণার সবকিছুতে মিশে আছেন তার মা। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়া, সফলভাবে কাজ করা, ভেঙে পড়া, উঠে দাঁড়ানো সব মায়ের কঠোর সমর্থনে। শুধুই মা। মা আমার দুর্গা। আমার মনের জোর। জন্ম থেকে আমার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের বীজ মা বুনে দিয়েছিল তার জেরেই আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সব কিছুতে এগিয়ে যেতে হবে আমাকে, মা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। মেয়ে বলে আলাদা করে মানুষ করা, মায়ের মাঝে এমনটা কখনো দেখিনি।’
এদিকে, নন্দিতার প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিনেত্রীর বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা। অভিনেত্রীর ভাইও রয়েছেন পাশে। মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী। ছেলে অঙ্কণ পড়াশোনার জন্য বস্টনে থাকার কারণে তার পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি।
সারাবাংলা/এএসজি