মামা-ভাগ্নের দ্বন্দ্বের অবসান— কৃষ্ণাকে বুকে টেনে নিলেন গোবিন্দ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৭
যিনি গোবিন্দ, তিনি আবার কৃষ্ণা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নয়! এখানে গোবিন্দ মামা আর কৃষ্ণা ভাগ্নে। বলা হয়, মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে। আবার মামা ও ভাগ্নের মধ্যে অল্পবিস্তর বিবাদ নতুন কোনও বিষয় নয়। তা হতেই পারে। তবে তাই বলে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। আর সেটাই ঘটলো বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং তার ভাগ্নে কৌতুক অভিনেতা কৃষ্ণা অভিষেকের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। পারিবারিক বিবাদের জেরে পরস্পরের মধ্যে তাদের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ। এমন কি বেশ আগে ছোটপর্দায় ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-য়ে অতিথি হিসেবে গোবিন্দ এবং তার স্ত্রী সুনীতা আহুজার আসার খবর পেয়ে শো ছেড়েছিলেন কৃষ্ণা! দীর্ঘ ৬ বছর মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল তাদের। অবশেষে বিবাদ ভুলে ভাগ্নে কৃষ্ণাকে কাছে টেনে নিলেন মামা গোবিন্দ। একে অপরকে জড়িয়েও ধরলেন। নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে এসেই ভাগ্নেকে বুকে টেনে নিলেন বলিউডের একসময়ের ‘হিরো নম্বর ১’।
এই শোয়ের সর্বশেষ পর্বের একটি ‘নেক্সট এপিসোড’ প্রোমোতে গোবিন্দ, চাঙ্কি পাণ্ডে এবং শক্তি কাপুরকে অতিথি হিসাবে দেখা গিয়েছে। বেশকিছুদিন আগে বন্দুকের গুলিতে জখম হয়েছিলেন গোবিন্দ। তবে এই শোয়ের প্রোমোতে তাকে অনেকটাই সুস্থ দেখাচ্ছিল। এদিন গোবিন্দকে নাচার জন্য উত্যক্ত করতে থাকেন শক্তি কাপুর। নাচের সময় কৃষ্ণা অভিষেককে ‘আলি বাবা এবং ৪০ চোর’-এর মতো পোশাক পরে থাকতে দেখা যায়। এদিন মামা-ভাগ্নে যখন একে অপরকে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরেন, তখন কৃষ্ণার বোন আরতি বসে ছিলেন দর্শকাসনে ছিলেন। দাদা ও মামার সেই দেখার পর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি আরতি। কৃষ্ণা বলেন, ‘অনেকদিন পর আমাদের দেখা হলো। এখন তোমাকে যেতে দেব না’। এমনকি গোবিন্দও মজা করে কৃষ্ণাকে ‘গাধা’ বলেও সম্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে গোবিন্দ যখন গুলির আঘাতে জখম হয়েছিলেন, তখন মামাকে দেখতে অবশ্য হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভাগ্নে কৃষ্ণা এবং তার স্ত্রী কাশ্মীরা। গত এপ্রিলে কৃষ্ণার বোন আরতি সিং-এর বিয়েতেও অবশ্য হাজির হয়েছিলেন গোবিন্দ।
কী কারণে ঝগড়া?
বেশ কিছুদিন আগে, ভারতীয় আরেকটি টিভি চ্যানেলে কৃষ্ণার ‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’ নামে একটি শো প্রচারিত হতো। আর সেই শো-য়ের প্রযোজকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন গোবিন্দ এবং তার স্ত্রী সুনীতা। প্রয়োজকদের অনুরোধে একদিন এই শো’র অতিথি হয়ে আসেন সস্ত্রীক গোবিন্দ। আর সেই শো-য়ের ঠিক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো বোমা ফাটান কৃষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরা। তিনি একটি পোস্ট দিয়ে তাতে লেখেন, ‘টাকা নিয়ে মঞ্চে নাচার লোকজন।’ আর এই পোস্টটিকে কেন্দ্র করেই জলঘোলা হতে শুরু করে। সে সময় ধারনা করা হয়, গোবিন্দ এবং তার স্ত্রীকে বোঝাতেই এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন কৃষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরা।
কাশ্মিরার দেয়া সেই পোস্টটির পর থেকেই নাকি মামা-ভাগ্নের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। তবে কৃষ্ণার ঘনিষ্ঠরা দাবি করেন, তিনি নাকি মামার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করেছেন বারবার। স্ত্রী কাশ্মীরা নিজের বোনকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট করেছেন বলেও জানান কৃষ্ণা। তাতেও নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও সরেননি গোবিন্দ। তাই ভাঙা সম্পর্ক আর জোড়াও লাগেনি। এর আগে কপিল শর্মার শো-তে বছর দুয়েক আগে যখন সস্ত্রীক গোবিন্দ এসেছিলেন তখনও কৃষ্ণাকে দেখা যায়নি। তিনি সেই সময় যাতে সেটে না থাকেন সেরকম কড়া বিধিনিষেধ জারি ছিল বলেও খবর। এমনকী কৃষ্ণার যমজ সন্তান কিংবা তার নিজের জন্মদিনে পার্টিতেও দেখা যায়নি মামা গোবিন্দ কিংবা স্ত্রী কাউকেই।
এরপর ২০২৪ সালে, গোবিন্দ যখন নিজের ভাগ্নী আরতি সিংয়ের বিয়েতে হাজির হলে তাদের বিচ্ছেদের অবসান হয়।
সারাবাংলা/এএসজি