উনি একজন রত্ন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ— এ আর রহমানের প্রশংসায় সায়রা
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৬
গেলো ১৯ নভেম্বর প্রায় তিন দশক দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। দীর্ঘ ২৯ বছর একসাথে পথচলার এমন সমাপ্তি দেখে হতবাক অনুরাগীরাও। কি এমন ঘটলো যার জন্য এমন সিদ্ধান্ত – এসব নিয়েই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কেন অস্কারজয়ী শিল্পীর ডিভোর্স ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার সহশিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। আরও নানা রটনা রটতে থাকে। মোহিনী ও রহমানের সন্তানেরা আগেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন রহমানের থেকে সদ্য বিচ্ছিন্না স্ত্রী সায়রা বানু।
সায়রা বানু, সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন গত কয়েক মাস ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি এই মুহূর্তে চেন্নাইতে নেই। তাই তিনি এআর থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলেন। নিজের ভয়েস নোটে সায়রা বানু সকলকে সঙ্গীতশিল্পীর নাম কলঙ্কিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার কথায় এ আর রহমানকে ‘একজন রত্ন, বিশ্বের সেরা মানুষ’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
অডিয়ো ক্লিপে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে সায়রা রহমান। আমি এখন বম্বেতে আছি। গত কয়েক মাস ধরে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই আমি শুধু এআর-এর থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি ইউটিউবারদের, দক্ষিণী সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব, দয়া করে ওর নামে খারাপ কথা রটাবেন না। উনি একজন রত্ন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ।’
সায়রা আরও বলেন, ‘আমার কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে আমাকে চেন্নাই ছাড়তে হয়েছে। কারণ, আমি জানতাম আমি যদি চেন্নাইতে না থাকি তবে আপনারা ভাববেন সায়রা কোথায়? আর আমি বম্বেতে এসেছি। এখানে আমার চিকিৎসা চলছে। আর চেন্নাইয়ে এআরের ব্যস্ত শিডিউলের কারণে এটা সম্ভব হত না এবং আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাইনি- না আমার সন্তানদের না আমার রহমানকে।
এই বিবৃতিতে এ আর রহমানের প্রশংসা করে সায়রা বলেন, ‘উনি একজন আশ্চর্যজনক মানুষ। আমি অনুরোধ করব দয়া করে ওকে ওর মতো থাকতে দিন। এই বিচ্ছেদের সঙ্গে অন্য কোনকিছুরই কোনো সম্পর্ক নেই। ওর কোনও দোষই নেই। আমি ওকে আমার জীবন দিয়ে বিশ্বাস করি। আমি ওকে কতটা ভালোবাসি, সেটাই বড় কথা। তাই আমি আপনাদের বিনীত অনুরোধ করছি যে ওর বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা অভিযোগ আনা বন্ধ করুন এবং ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করবেন। আমার আন্তরিক প্রার্থনা এই যে আমাদের একটু একা ছেড়ে দিন।’
সায়রা আরও বলেন, ‘আমি শীঘ্রই চেন্নাই ফিরে আসব, আমি আমার চিকিৎসা শেষ করে তবেই ফিরে আসতে পারব। তাই আমার অনুরোধ, দয়া করে ওর নাম কলঙ্কিত করবেন না, যা রটেছে তা একেবারেই বাজে কথা। আমি বলব, উনি মানুষ হিসাবে একজন রত্ন।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন।
সারাবাংলা/এএসজি