সাত বছরে পা দিলো জিটিভি
১২ জুন ২০১৮ ১৮:০৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ছয় পেরিয়ে সাতে পা দিয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল জিটিভি। ২০১২ সালের ১২ জুন যাত্রা শুরুর পর দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে এই চ্যানেল । তবে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার হিসেবে তালিকাভূক্তির পর জিটিভি হয়ে ওঠে সকল ক্রিকেট প্রেমির পছন্দের স্ক্রিন। দেশের এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব মেগা ইভেন্ট সম্প্রচার করে তাদের জনপ্রিয়তার পালে নতুন হাওয়া লাগে।
ছয় বছরের লম্বা পথ পেরিয়ে সাত বছরের নতুন যাত্রা, কোথায় দাঁড়িয়ে আছে জিটিভি, লক্ষ্যই বা কি? চ্যনেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমান আশরাফ ফায়েজ বললেন, স্বপ্ন তো অনেক। সবসময় চেষ্টা করি আরও ভালো কিছু করার। চাই আরও দর্শকপ্রিয়তা। কিন্তু সবতো একবারে পূরণ হয় না। অনেক কিছুই আছে যেমনটি চেয়েছিলাম, তেমনটাই করতে পেরেছি। আমরা যখন জিটিভির ব্র্যান্ড রিলঞ্চ করি তখন নতুন অনেক কিছুই করেছি। যেমন ঈদে আমরা বিরতিহীন ঈদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই ধরণের কাজ আমাদের দেশে প্রথম। আমরা সেই সময় বলেছিলাম জিটিভিতে ‘যা দেখতে চান, পাবেন’। কিন্তু এই কথাটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কিছুটা হেয় করা হয়। সেজন্য আমরা এখন পর্যন্ত আট জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছি। দেশীয় কোনো মিডিয়ার এটাও একটা বড় কাজ বলে মনে করি আমি। আবার আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। এটাও ঠিক। আমার জিটিভিকে এখনো এইচডি করতে পারিনি। একটা ভালো ভিউয়ার্সশীপ ডাটা বাজারে আনতে পারিনি। এর সঙ্গে আরও একটি বিষয় হলো দর্শকদের দায়। দর্শকরা আমাদের কন্টেন্ট দেখে কিন্তু আমাদের টাকা দেয় না। শুধু ডিস্ট্রিবিউটররাই পুরো টাকাটা রেখে দেয়। এই নিয়ম কিন্তু পৃথিবীর আর কোথও নাই। এই বিষয়টিও ঠিখ করতে পারিনি আমরা। এটা আসলে ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে অবশ্যই আমরা জিটিভিকে এইচডি করতে চাই। এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি দর্শকদের। সামনে নির্বাচন, তাই বিষয়টি নিয়ে নিউজের বিষয়ের বিশেষ গুরুত্ব¡ থাকবে। অনুষ্ঠান, নন-ফিকশনে আরও অনেক চমক তো থাকবেই। তবে সেগুলো এখনই প্রকাশ করছি না। বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের নতুন অনেক পরিকল্পনা আছে।
শুধু অনুষ্ঠান আর খেলা নয়, সংবাদ পরিবেশনেও জিটিভি তৈরি করেছে স্বকীয় ধারা। চ্যানেলটির প্রধান সম্পাদক খ্যাতিমান সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, একটি সক্রিয়, কার্যকরী গণমাধ্যম থাকার অর্থ মানুষ অজ্ঞ নয়, সে জানে এবং এই জানার কারণে সমাজে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারে। গণমাধ্যম তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করার অর্থ হলো, তাদের কাছে দেয়া জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করছেন কিনা, সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন রাখা। জিটিভি গণমাধ্যম হিসেবে অনেক দায়িত্বশীল। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর তথ্য সমৃদ্ধ মতামত মানুষকে সাহায্য করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে। জিটিভি’র কর্মীরা সমাজ পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করে চলেছে গত ছয়টি বছর। আগামীতে গণতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো নির্মাণে, একটি উদার, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে তার লড়াই অব্যাহত রখবে।
সারাবাংলা/পিএম