এখনও কোনো খোরপোশ চাননি এআর রহমানের স্ত্রী!
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৫
সম্প্রতি ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা শুনে হতচকিত অনুরাগীরা। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে চলছে হাজারও জল্পনা। রহমানের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার টিমের বেসিস্ট মোহিনী দে। এরপরেই উঠে আসে খোরপোশের প্রসঙ্গ। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন সায়রাবানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, “বিবাহবিচ্ছেদ এখন রূঢ় বাস্তব। সর্বত্রই এমন ঘটনা বাড়ছে। বিয়েতে সহনশীলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অত্যন্ত সৌজন্য এবং মর্যাদার সঙ্গে ২৯ বছর তারা দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তারা। শুধু শেষটা রূপকথার মতো হল না বলে, তারা বদলাননি। সৌজন্য ও মর্যাদা একই রয়েছে। কেউই বিচ্ছেদ করবেন বলে বিয়ে করেন না।”
আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের আকাশে অন্যতম উজ্জ্বলতম নাম এআর রহমান। গোল্ডেন গ্লোব থেকে অস্কার সবই রয়েছে তার জিম্মায়। তামিলনাড়ুর এই ছেলে নিজের দক্ষতায় তৈরি করেছে তার রাজত্ব। চেন্নাইয়ে এক বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে রহমানের। এছাড়াও লস অ্যাঞ্জেলসেও রয়েছে একটি বাংলো। এছাড়াও সমস্ত সুবিধাযুক্ত একটি স্টুডিও রয়েছে রহমানের। এছাড়াও রয়েছে জাগুয়ার, মার্সেডিজসহ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি।
একটি গানের জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন রহমান। কনসার্টের জন্য প্রতি ঘণ্টায় পারিশ্রমিক নেন ১-২ কোটি। সবমিলিয়ে রহমানের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০০০ কোটি। বিচ্ছেদের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠে খোরপোশের প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে বন্দনা বলেন,‘ভারতীয়দের ধারণা, বিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের জন্য স্বামীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক অংশ বিচ্ছিন্ন স্ত্রী পাবেন। এ ধরনের কোনো আইন এখনো নথিভুক্ত হয়নি। এই আইন তাই রহমান-সায়রা বানুর ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য নয়।’তিনি আরও বলেন যে, আদালতে এ আর রহমান তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন। সায়রা বানু যা দাবি করবেন, সেটি পরিস্থিতি অনুযায়ী আদালত বিবেচনা করবেন। যদিও এখনও অবধি কোনও খোরপোশ চাননি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সুরকার এআর রহমান। তাদের তিন সন্তান। দুই মেয়ে খাতিজা ও রহিমা এবং এক ছেলে আমিন রহমান। মঙ্গলবার রাতে যৌথ বিবৃতিতে তারা বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করেন। রহমানের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খোলেন সায়রা।
এক ভয়েস নোটে তিনি বলেন, ‘নমস্কার আমি সায়রা রহমান। আমি গেল কয়েক মাস ধরেই মুম্বইয়ে রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথায় গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হত না। রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই। সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন’।
সারাবাংলা/এজেডএস