আজিমপুরে শায়িত প্রবীর মিত্র
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৬ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩০
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা প্রবীর মিত্রকে আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তাকে সেখানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার একটু পরে তার মরদেহ এফডিসিতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, ছটকু আহমেদ, খোরশেদ আলম খসরুসহ অভিনয়শিল্পীদের অনেকে। এফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও প্রবীর মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস), চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, ফিল্ম ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এফডিসিতে বাদ জোহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৪ জানুয়ারি) প্রবীর মিত্র মারা যান। গেল ১৩ দিন ধরে তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রথমে তাকে হাসপাতালটির এইচডিওতে ভর্তি করা হয়েছিলো গেল ২২ ডিসেম্বর। এরপর ২ জানুয়ারি তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সারাবাংলা/এজেডএস