‘মুক্তির কণ্ঠ’ দিয়ে শেষ হলো রংপুর পদাতিকের নাট্যোৎসব
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৬
রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর পদাতিক-বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথ নাট্যোৎসব। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উৎসবের শেষ দিন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সমাপনী নাটক ‘মুক্তির কণ্ঠ’। নাটকটি রচনা করেছেন রঞ্জন সরকার।
আফ্রিকান বিদ্রোহী কবি বেঞ্জামিন মলোয়েস এর ফাঁসী নিয়ে সারা বিশ্বে যে আলোড়ন উঠেছিল তা উঠে এসেছে এই নাটকে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন লুকমান শারীফ। প্রযোজনা উপদেষ্টা ও নেপথ্যকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক দীপংকর দীপন। সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগের পরিচালক মো. আবু জাফর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভাগীয় সদস্য ইফতেখারুল আলম রাজ।
এই নাট্যোৎসবে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা থিয়েটারের ‘একটি লৌকিক ও অলৌকিক স্টিমার’. তীরন্দাজের ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’, ম্যাড থেটারের ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’, ভূমিজ পঞ্চগড়ের ‘মায়াচর’, পাবনা ড্রামা সার্কেলের ‘কেনারাম বেচারাম’, প্রচ্ছদ কুড়িগ্রামের ‘ঘর জামাই’, সারথি নাট্য সম্প্রদায় রংপরের ‘কি হচ্ছে এসব’।
এই নাট্যোৎসবে অংশ নিয়ে অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘অনেক দিন আগে রংপুরে মুনতাসির ফ্যান্টাসি নাটক মঞ্চায়ন করেছিলাম- এবার উৎসবে অংশগ্রহণ করে খুব ভাল লেগেছে। দর্শক ও আয়োজকদের স্বতঃস্ফূর্ততা ও আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নাটক চলার সময় দর্শকদের এমন রেসপন্স পেয়েছি যে, তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।’
দীপংকর দীপন বলেন ‘রংপুরে নাট্যর্চার মাধ্যমেই আমার সাংস্কৃতিক জীবনের শুরু। অনেকে বলে রংপুরের নাট্যচর্চায় নাকি ভাটা পড়েছে, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম সেটা সত্যি নয়। সেটাই প্রমাণ হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে। প্রতিদিন হাউসফুল মঞ্চে দর্শক নাটক দেখছেন─এই দৃশ্য দেখে আগত প্রতিটি দলই অভিভূত।’
সারাবাংলা/এজেডএস