Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংগীত দিবসে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন


২২ জুন ২০১৮ ১২:১৮ | আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ১২:৩৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।। 

সংগীতের কোন ধর্ম নেই, কোনো জাত নেই, কোনো রঙ নেই, সংগীতের নেই কোনো দেশ। তাই সহজেই সংগীতের হাত ধরে প্রকাশিতো হয় মানুষের মনের সৌন্দর্য। গতকাল (২১জুন) সেই সংগীতের উদযাপনই করেছে গোটা বিশ্ব।

বৃহস্পতিবার ছিলো বিশ্ব সংগীত দিবস। ফরাসি ভাষায় ‘ফেট দে লা মিউজিক’। বহু বছর ধরেই এ দিনে ঐতিহ্যবাহী সংগীত উৎসবের আয়োজন করছে ফ্রান্স। ১৯৮২ সালে এসে এ উৎসব ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’-তে রূপ নেয়। ‘গান হতে হবে মুক্ত, সংশয়হীন’ – এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই উৎসবে।

১৯ বছরের পথপরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায় এটি। ১৯৮৫ সালে সারা ইউরোপ জুড়ে উৎযাপন করা হয় এ দিনটিকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের বাইরেও পালিত হতে শুরু হয় এ দিন। বর্তমানে ১২০টি দেশ ‘বিশ্ব সংগীত দিবস’ উৎযাপন করে।

বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীও বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালার সামনে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব সংগীত দিবসের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিশিষ্ট নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর নাট্যশালার লবিতে পিয়ানো বাজিয়ে শোনান শিল্পী তিমির নন্দী ও শেলু বড়ুয়া। ছিলো চা-চক্রের আয়োজন, পুরো লবি পরিণত হয় শিল্পীদের মিলনমেলায়।

সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক ও লোক সংগীত শিল্পী মোস্তফা জামান আব্বাসীর সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাড়াও অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী খান, শিল্পী সুবীর নন্দী, শিল্পী শাহীন সামাদ, শিল্পী বুলবুল মহালনবিশ, শিল্পী শাহদাত হোসেন খান ও বাঁশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমীর সংগীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মো: সোহরাব হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘যারা সংগীত চর্চা করেন, যারা গান শোনেন, গানকে ভালোবাসেন, তারা কোনদিন কোন অন্যায় কাজ করতে পারে না। কারণ সংগীত মানুষের হৃদয় পবিত্র করে, মানুষকে মানবিক করে, ভালোবাসতে শেখায়। সংগীতের মুল কথায় হলো ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা কখনো ব্যক্তি, কখনো প্রকৃতি, কখনো দেশ। এই সংগীত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই সংগীতের যে শক্তি সে শক্তিকে আমরা ধারণ করি আমাদের হৃদয়ে, আমাদের চিন্তায়, আমাদের চেতনায়।’

আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বের প্রথমেই শিল্পী চন্দন দত্ত’র পরিচালনায় ১৫ জন যন্ত্রীর সমবেত পরিবেশনা। এরপর একে একে পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমীর শিশু শিল্পীবৃন্দ, সরকারী সংগীত মহাবিদ্যালয়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর শিশু শিল্পীরা, শিল্পী সুবীর নন্দী, বেহালাবাদক রুপসী মমতাজ, ব্যান্ড দল গান পাগল ও জলের গান। পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আনিকা ফারিহা।

ছবি : আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/এএসজি/টিএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর