থাই পুলিশ একাডেমিতে নিষিদ্ধ নারীরা
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২৫
রোকেয়া সরণি ডেস্ক ।।
থাইল্যান্ডের অন্যতম প্রধান একটি পুলিশ একাডেমি আর নারী পুলিশ নেবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার পরপরই থাই রয়্যাল পুলিশের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগে ফেটে পড়েছে পুরো থাইল্যান্ড। এ সিদ্ধান্তের কারণে নির্যাতনের শিকার নারীরা বৈষম্যের মুখোমুখি হবে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা।
জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের অন্তত নব্বই শতাংশ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়না। আবার থাই আইন অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার নারীদের শুধুমাত্র নারী পুলিশই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তাই থাই পুলিশে নারী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞার ফলে ধর্ষণ কিংবা শারীরিক নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়বে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে।
নারী ও পুরুষের প্রগতিশীল আন্দোলনের একটি দলের পরিচালক জ্যাডেট চ্যাওইলাই বলেন, থাইল্যান্ডে দুই লক্ষ তিরিশ হাজার সদস্য আছে। এতে নারী পুলিশের সংখ্যা কমে গেলে নির্যাতনের শিকার নারীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
ব্যাংককের পশ্চিম সীমানায় অবস্থিত থাই রয়্যাল পুলিশ একাডেমি বছরে তিনশ পুলিশ নিয়োগ দেয়। কিন্তু ২০১৯ থেকে তারা কোন নারী পুলিশ নিয়োগ দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ দেখানো হয়নি। রয়্যাল পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া এক বক্তব্যে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার নতুন এই নীতিটি নিয়ে এর থেকে বেশি তথ্য জানানোর অনুমতি নেই।
২০০৯’র আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে নারীরা পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেত না। শত বছরের পুরনো থাই রয়্যাল পুলিশ একাডেমি থেকে মাত্র সাতশ জন নারী পুলিশ অফিসার ট্রেনিং পেয়েছিলেন।
নারী অধিকার বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উসা লের্ডস্রিসান্ট্যাড বলেছেন, এটা নারীদের প্রতি চরম লিঙ্গ বৈষম্য। এমনিতেই থাই পুলিশে নারী অফিসার কম। এখন এর ফলে নারী অফিসারের সংখ্যা আরও কমে যাবে।
থাই রয়্যাল পুলিশ বাহিনী নারী পুলিশ নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও থাইল্যান্ডের অন্যান্য পুলিশ একাডেমিতে নারী পুলিশ নিয়োগ চলবে। কিন্তু রয়্যাল পুলিশ একাডেমির এমন সিদ্ধান্ত পুরো পুলিশ বাহিনীতে লিঙ্গ বৈষম্যের বাড়াবে বলে মনে করছেন সেখানকার মানবাধিকার কর্মীরা।
সারাবাংলা/আরএফ/এসএস