ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দিলেই কি ধর্ষণ বন্ধ হবে?
১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪০
ধর্ষণ। সম্ভবত গত কিছুদিনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও উচ্চারিত শব্দ। সম্প্রতি সিলেট ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনার খবর প্রকাশ পেতে থাকলে বিষয়টি ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পড়েছে। এসব নির্মম, বর্বরোচিত অপরাধগুলোর জের ধরে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন। ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বা ফাঁসির দাবি বিভিন্ন সময়েই জানিয়েছেন অনেকেই। এবারের আন্দোলনে আরও একবার সেই দাবি ওঠে জোরালোভাবে। এমন ‘জনদাবি’র মুখে সরকার এরই মধ্যে সংশোধনের মাধ্যমে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করেছে আইনে। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আজই (মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর) সেই সংশোধনী কার্যকরও হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিলেই কি মিলবে ধর্ষণের সমাধান? প্রাণের ভয়ে কি বন্ধ হবে সহিংসতা? অতীত উদাহরণ কী বলে? হত্যা-খুনের শাস্তি তো মৃত্যুদণ্ড। তাই বলে কি দেশ থেকে খুন বন্ধ হয়েছে? নিয়মিতই তো আদালত থেকে কাউকে না কাউকে হত্যার দায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার খবর মেলে পত্রিকার পাতায়। সেই একই পত্রিকাতেই প্রতিদিনই ব্যক্তিগত স্বার্থ থেকে শুরু করে নানা কারণে নির্মম সব হত্যাকাণ্ডের খবরগুলোও দগদগে ক্ষতের মতো তাকিয়ে থাকে। ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড কি তাহলে খুনে প্রবৃত্তি নিবৃত করতে পেরেছে?
পুরুষ তার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য হোক বা নারীর প্রতি জিঘাংসা থেকে হোক, ধর্ষণ করার সময় কি মৃত্যুদণ্ডের সাজার কথা ভেবে থেমে থাকবে? অপরাধপ্রবণ মন কি কখনো শাস্তির ভয়ে পিছিয়ে আসে? আবার ধরুন, আইন বিশেষজ্ঞ না হয়েও বলা যায়— মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইলে তো সেটির উপযুক্ত প্রমাণ লাগবে। কিন্তু ধর্ষণের অনেক ঘটনাই প্রমাণ করা সহজ নয়। বিশেষ করে বিবাহিত নারী বা যৌনকর্মী ধর্ষণের শিকার হলে তাদের জন্য সেটি প্রামণ করা আরও কঠিন। এক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি কিভাবে নির্ধারিত হবে? অথচ প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনাই সমান নৃশংস। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনাতেই নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি একই শারীরিক ও মানসিক পীড়া ভোগ করেন। যে ধর্ষণের প্রমাণ থাকবে, সেটির ক্ষেত্রেও যেমন বিচার নিশ্চিত করতে হবে, তেমনই যেগুলো প্রমাণ করা কঠিন, সেগুলোরও উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
একশ্রেণির মানুষ মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেও সমাজের একটি শ্রেণি আবার এর বিরোধিতা করছেন। তাদের মতে, এতে বেড়ে যাবে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা। বিশেষ করে শিশু ও গণধর্ষণের শিকার নারীদের খুন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে প্রমাণ লোপাটের ইচ্ছায়। এভাবে কি আমরা আমাদের নারী ও শিশুদের আরও বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছি না?
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে— ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড না চাইলে তাহলে সর্বোচ্চ সাজা কী হতে পারে? নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের গতকালের (সোমবার, ১২ অক্টোবর) সংশোধনীর আগেই তো এই সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। আর উচ্চ আদালতের সবশেষ নির্দেশনা বলছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাবাস। ফলে এই সাজায় তাৎক্ষণিকভাবে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু না হলেও তাকে তো আমৃত্যু কারাবাসই করতে হবে। এই সাজাটি কঠোর নয়, তাহলে এমনটি বলারও তো কোনো সুযোগ নেই। তারপরও কি সহিংসতা কমেছে? কিংবা ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যে এখনই যথেষ্ট কঠোর, সেই বার্তাটিই কি সবার কাছে স্পষ্ট?
ধর্ষণ সহিংসতা না কমার পেছনে নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। অন্যতম কারণ বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা। ১৮০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষণের ঘটনার রায় হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা নিশ্চিত করা যায় না। আবার যদি কোনো ধর্ষক সর্বোচ্চ সাজা না পেয়ে স্বল্প মেয়াদে কারাবাসের সাজা পায়ও, জেল থেকে বের হয়ে আবারও ধর্ষণ করেছে— এমন উদাহরণও কম না। তার অর্থ দাঁড়ায়— ধর্ষকের জন্য জেল খাটা তেমন কোনো বড় বিষয় না। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি যেসব কারণে ধর্ষক বা যৌন নির্যাতক হয়ে উঠেছে, সেই বিষয়ে কেউ কাজ করে না।
একজন নির্যাতকের জন্য আমাদের দেশে যথেষ্ট সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয় না। অথচ সাজার মেয়াদে তাকে মানসিক কাউন্সেলিং দেওয়াটা জরুরি, যার মাধ্যমে সাজা ভোগ করার পর তার অপরাধ প্রবণতাটি কমতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই কাউন্সেলিংয়ের পরও যদি মনে হয় যে তার অপরাধ প্রবণতা কমার ইঙ্গিত নেই, সেক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ শেষেও তাকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কি কিছু ভাবছি?
এর বাইরে সারাদেশের যৌন নির্যাতকের একটি তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিটি থানায় সেটি পৌঁছে দেওয়া দরকার, প্রয়োজনে স্থানীয় গণপ্রতিনিধিদের কাছেও তা পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে স্থানীয়ভাবে তাকে নজরদারিতে রাখা সম্ভব হবে। আর একজন নির্যাতক যখন জানবে সে সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছে, তখন হয়তো কিছুটা হলেও তার মধ্যে ভীতি কাজ করবে। তখন হয়তো ধর্ষণের মতো অপরাধ করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।
এখন আসি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে। ‘জনদাবি’র মধ্যে সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন সংশোধন করেছে। সরকার অবশ্য বলছে, জনদাবি নয়, বরং তারা বিভিন্ন দেশের ধর্ষণ আইন বিচার-বিশ্লেষণ করে তবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা না করে সোজা পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত কী হতে পারে? এর জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন। সবার আগে দরকার ছিলো সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করা।
বাংলাদেশে অধিকাংশ পুরুষ ও সাধারণ মানুষ মনে করে ধর্ষণের জন্য পুরুষের দায় নেই, দায়ী নারী। ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেই তার পোশাক, চলাফেরা, কথাবলা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আচার-ব্যবহার ইত্যাদি দিয়ে সেই ঘটনাকে ‘জায়েজ’ করার চেষ্টা করা হয়। গ্রামীণ সমাজে অনেক নারী ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়। অনেকসময় ধর্ষণের শিকার নারী সমাজে জায়গা না হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দা হয়। ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও তো কম ঘটে না। অথচ সামাজিকভাবে বর্জন করার কথা ছিল ধর্ষককে। কিন্তু এ দেশে যুগের পর যুগ নারীর যৌনতাকে নারী ও তার পরিবারের ‘ইজ্জত’, ‘সম্ভ্রম’ ইত্যাদি নাম দিয়ে তাদেরই ভুক্তভোগী করা হয়। আমাদের নাটক, সাহিত্য আর চলচ্চিত্রের চিত্রায়নটাও সেভাবেই ঘটে থাকে। ভিলেনের কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর নায়িকাকে তাই চিৎকার করে বলতে হয়, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল’। অথবা সিনেমার পর্দাতেও ধর্ষণের শিকার নারীকে আত্মহত্যা করতেও দেখা যায়।
এই সামাজিক পরিস্থিতি বদলানোর জন্য সবার আগে দরকার এই মানসিকতা বদলানোর ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে নারীকে স্ত্রী-কন্যা-মা হিসেবে পরিচিত না করিয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের সম্মান দিতে হবে। নারীকে সমমর্যাদার একজন মানুষ মনে করতে শিখলেই পুরুষ তার পৌরুষ দেখানোর জন্য নারীকে অধস্তন ভাবা বন্ধ করবে। স্কুল পর্যায়ে সেক্স এডুকেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। অল্প বয়সেই কনসেন্ট অর্থাৎ সম্মতি শব্দের অর্থ শেখাতে হবে, বোঝাতে হবে, কারও সম্মতি ব্যতিরেকে কিছু করা যাবে না। ক্ষমতা বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য নারীর ওপর যৌন সহিংসতার নেতিবাচক দিক বোঝাতে হবে ছোট থেকেই। সব পরিবার হয়তো এগুলো বোঝেই না। তাই রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিয়ে স্কুলের মাধ্যমে শেখাতে হবে এসব মৌলিক আচরণ। এতে পুরোপুরি ধর্ষণ নির্মূল হবে, তা বলা যায় না। তবে ধর্ষণমনস্কতা অনেকটাই কমবে, সেটি বলাই যায়।
এসবের পাশাপাশি তরুণদের জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি শিশুই যেন কোনো না কোনো সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ হওয়ার মানে শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আর বড় হয়ে গাড়ি-বাড়ি কেনার শিক্ষা থেকে বের হতে হবে। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য মানবিক গুণাবলী অর্জন, শিষ্টাচার, সভ্য আচরণ ও নারীকে সম্মান করার শিক্ষা দিতে হবে। আর এসব করতেই প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
আইনে যুক্ত হতে পারে আরও যা কিছু
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির ঘটনায় যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর আইনি সুরক্ষা এবং দ্রুত বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের শিকার নারীকে আইনি সহায়তা নিতে নিরুৎসাহিত করে সামাজিকভাবে ‘মীমাংসা’ করে দেওয়া হয়। অনেক ঘটনাতেই ভিকটিম যেন আইনি সহায়তা নেওয়ার কথা না ভাবেন, সেজন্য হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার ঘটনাও নেহায়েত কম ঘটে না। অন্যদিকে, আগেই বলা হয়েছে, ধর্ষণের সঙ্গে ‘ইজ্জত’, ‘সম্ভ্রম’ প্রভৃতি শব্দগুলোকে এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে অনেক সময় ধর্ষণের শিকার নারী কিংবা শিশু ও তাদের পরিবার ‘লোকলজ্জা’র ভয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চান না।
এ পরিস্থিতিতে আইনে এমন কিছু উপাদান যুক্ত হওয়া প্রয়োজন, যেখানে ধর্ষণের ঘটনা সামাজিকভাবে ‘মীমাংসা’ করার সুযোগ থাকবে না। সাধারণত গ্রাম্য মাতবর, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশও ঘটনার ‘মীমাংসা’ করে থাকে। আইনে এটি স্পষ্ট করতে হবে যে এ ধরনের ঘটনা এভাবে ‘মীমাংসা’ করা যাবে না। বরং এ ধরনের ঘটনায় দায়িত্বশীল এসব ব্যক্তিকেও উদ্যোগী হয়ে ভিকটিমকে আইনি সহায়তার দিকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার নারী আইনি পদক্ষেপ নিতে দ্বিধাবোধ করলে প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনকে তার কাছে যেতে হবে আইনি সহায়তা নিয়ে।
অন্যদিকে ধর্ষণ মামলায় রায় পেতে আদালতের বারান্দায় দীর্ঘ সময় চলে যায়। বিদ্যমান আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে এ ধরনের মামলার নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রেই হয় না। ধর্ষণ প্রমাণ করার ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা। ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে এ ধরনের মামলার বিচার গতি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় না হলেও অন্তত প্রতিটি বিভাগে একটি করে ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার হওয়ার কথা থাকলেও আদালতগুলোতে রয়েছে মামলা জট। এ ক্ষেত্রে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। একইসঙ্গে ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান থাকলে যখন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা দ্রুত বিচার পাবেন, তখন অন্যদের মধ্যেও আইনি সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, অধ্যাদেশের মাধ্যমে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে আজ থেকেই। তবে আশা করি, সরকার কেবল এই সাজা বাড়ানোর মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখবে না। বরং আইনে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুটির আইনের সহায়তা নেওয়া ও দ্রুত বিচারপ্রাপ্তির পথ সুগম করবে। একইসঙ্গে ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যধিকে নির্মূল করার জন্য শিক্ষা, নৈতিকতার চর্চার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়ে নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ সমাজ নির্মাণে উদ্যোগ নেবে।
আইন সংশোধন ধর্ষণ ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন নারী নিপীড়ন নারী নির্যাতন নারী প্রতি সহিংসতা ফাঁসি মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন