বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে আমরা একটা মুহূর্ত স্মার্টফোন ছাড়া ভাবতেই পারিনা। আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। তবে এই স্মার্টফোন ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। স্মার্টফোন আবার আপনার অজান্তেই মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে না তো? বিশেষ করে চোখের ক্ষতি। আসুন জেনে নেই, স্ক্রিনের চড়া আলোর হাত থেকে আপনার চোখকে রক্ষার কিছু টিপস _
মোবাইল অ্যাপগুলো বানানোই হয়, যাতে আপনি অধিকাংশ সময় কাটাতে পারেন আপনার সাধের ফোনটির সঙ্গে। অ্যাপের পরিবর্তে ব্যবহার করুন ওয়েবসাইট। ফোন থেকে মুছে দিন সেইসব অ্যাপ যেগুলো বেশিই ব্যবহার করে থাকেন।
ফোনের ব্রাইটনেস কম রাখুন। এতে চোখের উপর চাপও কম পড়বে।
নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিন তাতে যেন অ্যামোলেড বা সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে কি না। এই ডিসপ্লেগুলো এলসিডি ডিসপ্লের থেকে অনেক উন্নত এবং আধুনিক। এই ডিসপ্লেতে ভালো রশ্মি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই ডিসপ্লেগুলো কম ব্যাটারি খরচ করে। বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানি অ্যামোলেড ডিসপ্লে স্মার্টফোন বিক্রি করে।
ফোনের অ্যাপের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ইন্টারনেট সংযোগকে। যা আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দূরে রাখবে ফোনের কাছ থেকে।
আপনার ফোনের ‘ডু নট ডিসটার্ব’ অপশনে গিয়ে সেটাকে অন করে দিন। এ ছাড়া আপনি যদি হন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী, তাহলে প্রথমে ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে অ্যাপ ও নোটিফিকেশন বার খুলুন। রিসেন্টলি সেন্ট বলে একটি অপশন আসবে সেখান থেকে আপনার পচ্ছন্দসই অ্যাপটি বেছে তার সেটিং পরিবর্তন করুন। তাহলেই বার বার ফোন খুলে দেখার ঝক্কি কমে যাবে, রেহাই পাবে আপনার চোখও।
ফোন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ব্লুটুথ, হেডফোন বা ইয়ার প্যাডের ব্যবহার করুন। ফোন আসার পর থেকেই সময় দেখার জন্য ঘড়ির বদলে মুঠো ফোনকেই বেছে নিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ফোনের পরিবর্তে ব্যবহার করুন ‘স্মার্ট ওয়াচ’। স্মার্ট ওয়াচের স্ক্রিন ফোনের চাইতে অনেকটাই ছোট, তাই ভয়ের আশঙ্কাও নেই।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এটি চোখের যেন একদমই ভালো না। শুধু ঘুম নয়, মাথা ব্যথার কারণও হতে পারে স্মার্টফোন থেকে আসা নীল আলো। তাই স্ক্রিন প্রোটেকশন বা ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
এছাড়া যে স্মার্টফোনগুলোতে কার্ভ ডিসপ্লে রয়েছে সেই রকম ফোন কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো শুধু ডিসপ্লেতে ভালো কনটেন্ট প্রদর্শন করে না। যে কন্টেন্ট দেখছেন তার ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে। তাই কার্ভ ডিসপ্লে ফোন হলে অতি উত্তম। সেসঙ্গে উচ্চ রিফ্রেশ রেট রয়েছে এমন স্মার্টফোন কেনা উচিত। ভালো রিফ্রেশ রেট হলে স্ক্রিন আরও মসৃণ হয়। ভালো স্ক্রিনিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাই ৯০ হার্জ থেকে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট রয়েছে এমন স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করুন।
ডার্ক মোডে ফোনের পর্দার পটভূমি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং লেখাগুলো সাদা দেখায়। ডার্ক মোডে অন্ধকারে অতিরিক্ত আলো ছাড়াই পর্দার লেখা বা ছবি ভালোভাবে দেখা যায়। ফলে চোখের ওপর চাপ পড়ে না। আর তাই রাতে বা কম আলোতে ফোনে ডার্ক মোড ব্যবহার করতে হবে।
ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য ২০/২০/২০ নামের একটি নিয়ম রয়েছে, সেটি অনুসরণ করা উচিত। প্রতি ২০ মিনিট পর আপনাকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের ছবি দেখতে হবে। এ পদ্ধতি চোখের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সহায়তা করবে।