নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের ফোন নানা ধরণের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গেমস, ই-কমার্সসহ নানা ধরণের অ্যাপে যুক্ত থাকতে হয়।
দেখা যায়, এ কারণে সারাদিন ধরেই ফোনে একের পর এক নোটিফিকেশন ফোন আসতেই থাকে। যা মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে শুধু বিরক্তির কারণই নয়, এটি আপনার ফোনের ব্যাটারির জন্যও ক্ষতিকর। কারণ প্রতিটি নতুন নোটিফিকেশন এলে, ফোনের স্ক্রিন চালু হয়, ভাইব্রেশন বা সাউন্ড হয়, ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ এক্টিভ থাকে। বারবার এমন হলে ফোনের প্রসেসর ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এবং অতিরিক্ত চার্জ ব্যয় হয়। বিশেষ করে যখন অনেক অ্যাপের নোটিফিকেশন চালু থাকে, এতে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়।
আসুন জেনে নেয়া যাক, ফোনে আসা অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধের টিপস —
প্রথমে ফোনের সেটিংস থেকে নোটিফিকেশনে অপশনে যেতে হবে।
এরপর যেসব অ্যাপের নোটিফিকেশন প্রয়োজন নেই, সেগুলোর টগল বন্ধ করে দিতে হবে।
বিশেষ করে গেমস, শপিং অ্যাপ, নিউজ, অফার বা লোন অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা ফোনের জন্য ভালো।
অ্যানড্রয়েড ও আইফোন-উভয় প্ল্যাটফর্মেই এ অপশন সহজে পাওয়া যায়।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ অপশন বন্ধ করে দিলে কিছু অ্যাপ নিজের থেকে চালু হয়ে নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না।
নোটিফিকেশন ‘সাইলেন্ট’ করলেও অনেকটাই ব্যাটারির সাশ্রয় হয়।
নোটিফিকেশন ফোন ব্যবহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন কেবল সময় নষ্টই করে না, ব্যাটারির আয়ুও কমিয়ে দেয়। তাই সচেতন হয়ে প্রয়োজন ছাড়া অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখাই ভালো।
ফোনে ডু নট ডিস্টার্ব মোড চালু রাখলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা যায়।
আপনার ফোনে যদি ডু নট ডিস্টার্ব মোড চালু করা থাকে, তাহলে ডিফল্ট সেটিং হিসেবে আপনার ফোনে কোন কল শো হয় না। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই আপনার এমন পরিচিত ও লোকজন থাকতে পারে, যাদের ফোন রিসিভ করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। আর এক্ষেত্রে, Do Not Disturb একটিভ থাকা অবস্থাতেও কল সেটিং কাস্টমাইজ করার জন্য Call অপশনে ক্লিক করুন।