কোনো সমস্যা না হলে আমরা কেউই নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটিকে রিস্টার্ট করি না। দেখা যায়, একটানা সপ্তাহ বা মাসজুড়ে চালিয়ে রাখলেও অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস এড়িয়ে যান। একেবারেই ফোন হ্যাং করে গেলে বা অ্যাপ ঠিকমতো কাজ না করলে আমরা রিস্টার্ট করি না। কিন্তু নিয়মিত রিস্টার্ট করলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত ফোন রিস্টার্ট করলে নানা ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করা শুধু ভালোই নয়, এটি ফোনের স্বাস্থ্য এবং পারফরম্যান্স বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরি।
চলুন জেনে নিই, কেন মাঝেমধ্যে ফোন রিস্টার্ট করা জরুরি …
ফোন রিস্টার্ট মানে হলো ফোনকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে আবার চালু করা। এতে ফোনের (অস্থায়ী মেমোরি) পরিষ্কার হয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ হয় এবং সিস্টেম নতুন করে কাজ শুরু করে: একটি ‘রিফ্রেশ’ অবস্থায়।
রিস্টার্ট করলে যেসব সুবিধা _
রিস্টার্ট করলে ফোনের গতি বেড়ে যায়। ফোন ধীরগতির হয়ে গেলে রিস্টার্ট করে দেখুন। পুরনো প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ফোন আবার আগের মতো দ্রুত কাজ করতে পারে।
ব্যাটারি ব্যাকআপ উন্নত হয় রিস্টার্টের কারণে। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বা বাগের কারণে ব্যাটারি দ্রুত ফুরায়। রিস্টার্ট করলে এসব বন্ধ হয়ে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়।
অ্যাপ ক্র্যাশ ও হ্যাং কমে যায়। কোনো অ্যাপ আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করলে রিস্টার্ট অনেক সময় তা সমাধান করে।
নেটওয়ার্ক সমস্যায় কার্যকর পদক্ষেপ হলো এটি। কল ড্রপ, সিম না ধরা, মোবাইল ডেটা না চলার মতো সমস্যা হলে রিস্টার্ট করলেই ফোন নতুন করে নেটওয়ার্ক ক্যাচ করে নেয়।
ফোনের ওভারহিটিং কমায় রিস্টার্ট। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার বা চার্জের পর গরম হওয়া ফোন কিছু সময় বন্ধ রেখে চালু করলে ঠান্ডা হয়ে আসে।
যেসব ভুল ভুলেও করবেন না _
রিস্টার্টের পরিবর্তে ফ্যাক্টরি রিসেট করে ফেলবেন না, এতে সব ডেটা মুছে যেতে পারে
বারবার রিস্টার্ট করাও ভালো নয়, এতে হার্ডওয়্যারে চাপ পড়ে
সমস্যা থেকে বাঁচতে ফোনে সফটওয়্যার আপডেট সময়মতো দিন
কতদিন পর পর রিস্টার্ট করা জরুরি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত ১ বার ফোন রিস্টার্ট করা উচিত। যদি ফোন স্লো হয়ে যায় বা হিট করে, তখন সঙ্গে সঙ্গে রিস্টার্ট করা ভালো।
আবার যারা অনেক অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে ৩-৪ দিনে একবার রিস্টার্ট করলেই ভালো ফল মেলে।