খেলার ধুলার জগতে ফুটবল বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় এক খেলা। আমরা সবাই বিশাল মাঠে একটি ফুটবল নিয়ে ২ দলের ২২ জনের খেলা দেখে আসছি। তবে মাঠের খেলা সবাই দেখে থাকলেও হিউম্যানয়েড রোবোটিক ফুটবল খেলা কি দেখেছেন?
আজ জানবো বিশ্বের প্রথম এআই ফুটবল ম্যাচ নিয়ে কিছু কথা _
শুরুর কথা
গত শনিবার রাতে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় চীনের ইতিহাসে প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হিউম্যানয়েড রোবট ফুটবল ম্যাচ। এতে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানয়েড রোবট অংশ নেয়। দলের খোলোয়াড় সংখ্যা ছিল তিনজন করে। মানুষের কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়াই, পুরো খেলাটি পরিচালিত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে।
উদ্দেশ্য
এই অনন্য এই টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য ছিল রোবটগুলির ভারসাম্য, তৎপরতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পরীক্ষা করা।
এআই রোবট ফুটবলারদের বিশেষত্ব
এআই ফুটবল খেলা চলাকালীন রোবটগুলিকে মানুষের মতো আচরণ করতে দেখা যায়। গোলের পরে রোবটদের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায়, হাত তুলে উল্লাসের ছবি ধরা পড়ে! রোবটগুলির মধ্যে উন্নত ভিজ্যুয়াল সেন্সর প্রযুক্তি ছিল, যেগুলি নিজেরাই বলকে শনাক্ত করে নিজে থেকেই দৌড়াতে সক্ষম। মাঠে পড়ে গিয়েও নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা ছিল এই হিউম্যানয়েডদের। তবে কিছু রোবট ম্যাচ চলাকালীন পড়ে গিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়। যা খেলায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
খেলার বর্ণনা
এই অনন্য ম্যাচে চিনের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভলকান’ দল এই AI ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে। সংবাদ সংস্থা AP-কে আয়োজকরা জানিয়েছেন, “রোবটদের কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিচালিত করার অভিজ্ঞতা অর্জনেই এই উদ্যোগ।”
এই এআইয়ের পেছনের কারিগর কারা
এই উন্নত রোবটগুলি তৈরি করেছে Booster Robotics নামের একটি সংস্থা। সংস্থার CEO চেং হাও জানান, ‘ফুটবল মাঠ হচ্ছে হিউম্যানয়েড রোবটের জন্য সবচেয়ে বাস্তব ও উপযুক্ত পরীক্ষাগার। এখানে সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও অ্যালগরিদম একসঙ্গে কাজ করে।’
এই ম্যাচকে ভবিষ্যতের রোবোটিক স্পোর্টসের ‘এক ঝলক’ হিসাবেই মনে করছেন এই এআইয়ের পেছনের কারিগররা।