প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল। আর এই বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই এসি যেমন গ্রীষ্মের মরশুমে প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তেমনি আবার বর্ষাকালে এটি আর্দ্রতা থেকে মুক্তিও দেয়। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না বর্ষায় এসি কোন মোডে চালাবেন।
আজ জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় এসি’র সঠিক ব্যবহার …
এসি-র ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে _
বর্ষার মরশুমে এসি-র ভিতরের আর্দ্রতা ফিল্টার এবং ডাক্টের মধ্যে জমা হতে থাকে। যদি তা পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেখানে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর এই কারণে এসি থেকে দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার করে এসি-র ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত।
এসির টাইমার অপশন _
এসির রিমোটে টাইমার অপশন থাকে। এই বর্ষায় সময় টাইমার ব্য়বহার করতে পারেন। আধঘণ্টা, ১ ঘণ্টা না অন্য কোনও সময় সিলেক্ট করলে ততক্ষণ এসি চলে তারপর নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে। টাইমার ব্যবহার করলে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। ঘর খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় না। নির্দিষ্ট সময় পরে নিজে থেকেই এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগও অনেকটা বাঁচে।
একটি স্টেবিলাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক _
যদি এসি-র সঙ্গে ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার বা সার্জ প্রোটেক্টর না ইনস্টল করা থাকে, তাহলে হঠাৎ ভোল্টেজ আপ-ডাউনের কারণে এসি-র ভিতরের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এমন পরিস্থিতিতে এসি নিরাপদ রাখার জন্য স্টেবিলাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক।
এসি-র বাইরের ইউনিটে মরিচা পড়ার ঝুঁকি _
স্প্লিট এসি-তে একটি আউটডোর ইউনিট থাকে। আর বাইরের দিকের ইউনিটটি সাধারণ ভাবে বাইরে বা খোলা জায়গায় ইনস্টল করা থাকে। যার জেরে বৃষ্টির জল পড়ে বাইরের ইউনিটটিতে মরিচা পড়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এসি-র আউটডোর ইউনিটের অংশগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এহেন অবস্থায় এসি-র বাইরের ইউনিটটি বাড়ির বারান্দা বা ব্যালকনিতে ইনস্টল করা উচিত।
মিটার কানেকশন চেক করা _
বাসার মিটার কানেকশনটি পরীক্ষা করুন। মিটার কানেকশনে নির্দিষ্ট লোড থাকে। সেই লোডের ভিত্তিতে কটা এসি চালানো যাবে, সেটা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় লোড নিয়ে তবেই এসি চালানো উচিত। কারণ মিটার অভারলোড নিতে না পারলে এসি বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
বর্ষাকালে এসি-র তাপমাত্রা কত-য় সেট করা উচিত?
বর্ষার দিনে এসি চালালে এর তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে এবং সেই সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালু রাখা উচিত। এতে ঘরের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস ভাল ভাবে ছড়িয়ে পড়বে এবং আরামদায়ক ঠান্ডার অনুভূতি মিলবে।
এছাড়া আর্দ্রতা এবং আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য, এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার সর্বোত্তম মোড হল ‘ড্রাই’ বা ‘ডিহিউমিডিফাই’ মোড। এই মোড তাপমাত্রা না কমিয়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে।
সেইসঙ্গে যখন এসি বন্ধ থাকবে তখন ঘরের হাওয়া চলাচল ঠিকমতো হয় কিনা, সেটা দেখতে হবে। নয়তো ঘরে ছত্রাক জমতে পারে। তাই যখন এসি বন্ধ রাখছেন সেসময় ঘরের জানালা দরজা খোলা রাখুন।