জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য ন্যূনতম বয়সসীমার ব্যাপারে নতুন নিয়ম করেছে।
জানা গেছে, ২২ জুলাই থেকে কেউ ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি না হলে ইউটিউবে অভিভাবক ছাড়া লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না।
ইউটিউব হেল্প সাপোর্ট পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইউটিউব এক বার্তায় বলেছে, যদি কোনো ইউটিউবারের বয়স ১৬ বছরের কম হয়, তাহলে তাকে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সেই লাইভ স্ট্রিম করতে হবে। সে এডিটর হতে পারবে, লাইভ স্ট্রিম ম্যানেজ করতে পারবে কিংবা নিজের প্রাপ্তবয়স্ক পৃথক চ্যানেল গড়তে পারবে। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সেই ইউটিউবারের চ্যানেল থেকে লাইভ স্ট্রিম শুরু করতে এবং একই দর্শকদের কাছে কনটেন্ট পৌঁছেও দিতে পারবেন।
এ পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব হতে পারে যে, এখন থেকে আরও বেশিসংখ্যক পরিবার ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিম করবে একসঙ্গে। এখন ১৬ বছরের কম বয়সি শিশুর একা একা লাইভে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের কেবল প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণই নয়; বরং লাইভ স্ট্রিমের সময় শিশুর ওপরে নজরদারিও রাখতে হবে। এতে শিশু এবং বাবা-মায়ের মধ্যে একটি নতুন ডিজিটাল সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
যদি পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করেন, তাহলে এটি শুধু শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তাই নয়, বরং একসঙ্গে সময় কাটানোর একটি নতুন ডিজিটাল উপায়ও হয়ে উঠতে পারে। যারা ইউটিউবকে ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন বা ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এ নীতি কার্যকরী হবে।
যদিও পারিবারিক লাইভ স্ট্রিমে নানারকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। লাইভ হওয়ার অর্থ হলো— সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে সবার সামনে চলে আসা। এমন পরিস্থিতিতে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠতে পারে। কোনো বিষয় প্রকাশ্যে আনা যেতে পারে, আবার কোনো বিষয় গোপন রাখাও উচিত তা সম্পর্কে বাবা-মা এবং শিশুর স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। লাইভ স্ট্রিম যাতে আকর্ষণীয় হয় এবং ইউটিউবের নিয়ম যাতে কোনোভাবেই লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
ইউটিউব জানিয়েছে, নিয়ম ভঙ্গকারীদের লাইভ চ্যাটসহ কিছু ফিচার সাময়িকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। নিয়ম না মানলে চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করার কথাও উল্লেখ করেছে তারা। কেউ একাধিক চ্যানেল ব্যবহার করে নিয়ম এড়ানোর চেষ্টা করলে সেটিও ইউটিউবের নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, আগে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি ক্রিয়েটররা চাইলে একা লাইভ করতে পারত। শুধু ১৩ বছরের নিচে থাকলে ক্যামেরার সামনে প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন নিয়মে এই বিধিনিষেধ ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ১৬ বছরের নিচে কেউ লাইভ স্ট্রিম করতে চাইলে সঙ্গে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করতে হবে।