চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুক থেকে এক কোটি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে মেটা। মেটার দাবি, এই অ্যাকাউন্টগুলো বট বা সাধারণ স্প্যাম অ্যাকাউন্ট ছিল না, বরং প্রকৃত ব্যবহারকারীরাই অন্য পরিচয়ে ভান করে প্ল্যাটফর্মের নীতি লঙ্ঘন করছিলেন।
যে কারণে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে _
মেটার মতে, মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভুয়া এনগেজমেন্ট, নকল অ্যাকাউন্ট, এবং কনটেন্ট নির্মাতাদের ছদ্মবেশে প্রতারণা করা প্রোফাইল সরিয়ে দেওয়া। ১৪ জুলাই প্রকাশিত ফেসবুক ক্রিয়েটর ব্লগে বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সৃজনশীলদের স্বকীয় কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গিকে উদযাপন করা উচিত। অনুকরণকারী বা প্রতারকের ভিড়ে তারা হারিয়ে যাবে না।’
ব্লগে আরও জানানো হয়, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি প্রোফাইল মুছে ফেলা হয়েছে- যারা বড় কনটেন্ট নির্মাতাদের পরিচয় নকল করে প্রতারণা করছিল। এর পাশাপাশি, আরও ৫ লাখ অ্যাকাউন্টের কমেন্টের নাগাল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, এনগেজমেন্ট হ্রাস করা হয়েছে এবং তাদের আর্থিক সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীদের উদ্বেগ ও প্রতারণার আশঙ্কা _
অনেক বৈধ ব্যবহারকারী অভিযোগ করছেন—তাদের অ্যাকাউন্টও ভুলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতারকেরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা অ্যাকাউন্ট ‘ফিরিয়ে দেওয়ার’ নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা ডিঅ্যাকটিভ হলে, ব্যবহারকারীকে ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে এবং ফেসবুকে লগইন করলে সেই তথ্য স্ক্রিনে দেখা যাবে। এরপর ১৮০ দিনের মধ্যে ব্যবহারকারী আপিল করতে পারবেন। তবে কিছু গুরুতর বা আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা ছাড়াই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হতে পারে।
সূত্র: ফোবস।